সম্প্রতি ওপেন সোর্স বিষয়ক সংগঠন ওপেন ইনভেনশন নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। এর মাধ্যমে ওপেন সোর্স লাইসেন্সের অধীনে প্রতিষ্ঠানটির ৬০ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট উন্মুক্ত হচ্ছে। প্যাটেন্ট বিষয়ক বিভিন্ন মামলা থেকে লিনাক্সকে সুরক্ষিত রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ওপেন ইনোভেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুই হাজার চারশ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্যাটেন্ট ব্যবহার করে থাকে লিনাক্স। এর মধ্যে গুগল, আইবিএম প্রভৃতি নামকরা প্রতিষ্ঠানের প্যাটেন্ট যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ব্যক্তিমালিকানায় থাকা অনেক প্যাটেন্টও। সংগঠনটির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের প্যাটেন্ট ব্যবহারেরও সুযোগ পেয়ে থাকে। প্রায় এক হাজার তিনশ প্যাটেন্ট ও অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে এ সংগঠনের অধীনে। তবে কিছু প্যাটেন্ট এ ঘোষণার বাইরে থাকছে। এর মধ্যে আছে মাইক্রোসফট ডেস্কটপ এবং বিভিন্ন ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন।
এ বিষয়ে মাইক্রোসফটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট ঘুথরি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের ওপেন সোর্স প্রকল্পকে কপিরাইট ও প্যাটেন্ট সংক্রান্ত মামলা থেকে রক্ষা করতে চাই। আর এ কারণেই আমাদের হাতে থাকা সব প্যাটেন্ট ওপেন সোর্সের অধীনে উন্মুক্ত করা হয়েছে।’
কিন্তু হঠাৎ করেই মাইক্রোসফট কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্কট বলেন, ‘আমরা মনে করি ওপেন সোর্স এমন একটি জায়গা যেখান থেকে সব ডেভেলপারই উপকৃত হতে পারে। আমরা শুধু কোড জানানোতেই সীমাবদ্ধ থাকছি না, পুরো রোডম্যাপই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে আমাদের আরেকটি প্ল্যাটফর্ম গিটহাবে কাজ করছেন প্রায় ২০ হাজার কর্মী।’
মাইক্রোসফটের হাতে থাকা বিভিন্ন প্যাটেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের পরিমাণ ছিল বিপুল অঙ্কের। ২০১৪ সাল পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড সংক্রান্ত প্যাটেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় ছিল ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। শুধু স্যামসাং থেকেই আয় হয়েছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার।