আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে না পারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় পরাজয়। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও মাথা নেই। তাদের এমন কোনো ফেস (নেতা) নেই যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। দিন যত যাবে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে তা আরো স্পষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরাজয়ের ভয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি এবং অসাম্প্রদায়িক শুভ শক্তির নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে আওয়ামী লীগকেই বিজয়ী করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপির জনগণের ওপর আস্থা কম। যাদের জনগণের ওপর আস্থা কম তারাই গুজবের ওপর নির্ভর করে। রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয় মিথ্যাচার আর গুজবের কারখানা।
কাদের বলেন, নির্বাচনের ২৫ দিন আগে আন্দোলনের ঘোষণা দুঃস্বপ্নের নামান্তর। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপি অনেক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের জনগণ এখন নির্বাচনের আমেজে রয়েছে। তারা এখন আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক, জনগণ এখন আর সে মুডে নেই। কিন্তু পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নানাভাবে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবার দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে যারা বিদ্রোহী হবে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচন না করাই ভালো। নৈতিকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এটাকে সমর্থন করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণগ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা গণগ্রেফতারের যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। গণগ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তালিকা ছাড়া তাদের এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তাদের গণগ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তালিকা দিতে হবে। সন্ত্রাসী ও সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।