একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডজনের বেশি হেভিওয়েট প্রার্থী। পরাজিতদের অনেকেই সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের ইতিহাস ছিল না। যদিও এবারের নির্বাচনে তাদের অভিযোগ সরকার ও নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন করেছে। ফলাফল প্রত্যাখ্যানসহ পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন।
অনেক দরকষাকষি করে আসন নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি চট্টগ্রাম ১৪ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। ভালো ফলের আশায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে লড়াই করেন। কিন্তু কোনো আসনেই তার অনুকূলে জয় আসেনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে প্রয়োজনে দল বদলও করেছেন। কিন্তু এবার তিনিও নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বিজয়ী হতে পারেননি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েম্বর চন্দ্র রায় ঢাকা-৩ আসনে লড়াই করে হেরেছেন। আরেক প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। বার বার বিজয়ী হলেও এবার হেরেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি
নরসিংদী-২ আসন থেকে ভোট করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বিজয় আনতে পারেননি। তিনি চট্টগ্রাম-১১ থেকে লড়াই করেন। বিএনপির বীর চট্টলার ‘অভিভাবক’ খ্যাত আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বার বার বিজয়ী হলেও এবার তিনি হেরেছেন। ঐক্য করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন সাবেক এমপি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়েছেন এবং হেরেছেন। আলোচিত রাজনীতিবিদ নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির ঘাঁটি বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি। জাতীয় ঐক্যের রূপকার ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু এবার ঢাকা-৭ আসনে লড়াই করেছেন। প্রতিপক্ষের কাছে তার ভরাডুবি হয়েছে। একই সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসনে ভোটযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন।