এমপির গাড়ি থেকে ৪ অভিযুক্ত গ্রেফতার

এমপির গাড়ি থেকে ৪ অভিযুক্ত গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

নওগাঁয় যুবলীগ নেতা আজিমুদ্দিন খুন

এমপির গাড়ি থেকে ৪ অভিযুক্ত গ্রেফতার

  • নওগাঁ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ মে, ২০১৮

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় খাস পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে স্থানীয় এমপির গাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা আজিমুদ্দিনের জানাজায় স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলমকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি জানাজায় অংশগ্রহণ করতে গেলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাকে বাধা দিলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের লাঠিসোটা, লোহার রড ও হাতুড়ির আঘাতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা আজিমুদ্দিনকে রানীনগর হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরে আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠাতে অনেক দেরি হওয়ায় পথেই তার মৃত্যু হয়। নিহত আজিমুদ্দিন রানীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়ন যুলীগের সভাপতি।

নওগাঁ জেলা পুলিশের মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডিএসবি ফারজানা হোসেন জানিয়েছেন, রানীনগর উপজেলার করজগ্রাম সখিনপাড়া মসজিদের খাস পুকুরটি মসজিদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ১৪-১৫ বছর যাবৎ মাছ চাষ করে আসছিলেন নিহত আজিমুদ্দিনের বড়ভাই শহিদ। কিন্তু হঠাৎ করে গত রোববার দুপুর অনুমান ২টায় সাহাদত হোসেন সায়েম, নাজমুল হক মাসুম, আবদুল আজিজ, রহিমসহ ৩০-৩৫ জন মোটরসাইকেলযোগে ওই পুকুরপাড়ে গিয়ে স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে বলে যে এই পুকুর তারা লিজ নিয়েছে, এখন সেখানে মাছ ছাড়বে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সায়েম ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করে। এতে আজিমুদ্দিনসহ তার ভাই শহিদ, জালাল ও তাদের মা মানিকজান বেওয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আজিমুদ্দিনকে হামলাকারীদের বাধায় প্রথমে রানীনগর হাসপাতালে ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়ে আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নওগাঁ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আকতার, সহকারী পুলিশ সুপার সদর দফতর মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে রোববার সন্ধ্যার পর অনুমান সাড়ে ৭টায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের গাড়ি থেকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযুক্ত সাহাদত হোসেন সায়েম, নাজমুল হক মাসুম, আবদুল আজিজ ও রহিমকে এবং অন্যত্র থেকে আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রানীনগরে সায়েমের অফিস তল্লাশি করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং নানা রকমের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads