সিরিয়ায় ইয়ারমুক থেকে পিছু হটেছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভান্ত (আইএসআইএল)। গত রোববার মধ্যরাতে আটকে পড়া আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের লোকজনকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইয়ারমুক শিবিরে বাস প্রবেশ করতে দেখা যায়। খবর আলজাজিরা।
আইএসআইএল এবং সিরীয় সরকারের মধ্যকার চুক্তির কথা অস্বীকার করা হয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ায়। গত চার সপ্তাহ ধরে দামেস্কের শহরতলিতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সিরীয় বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, অবিরাম বিমান হামলার কারণেই আইএস ইয়ারমুক ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আল হাজার আল আসওয়াদ জেলা হয়ে বাসগুলো প্রবেশ করে এবং মধ্যরাতের শেষে বাদিয়ার দিকে বাসভর্তি আইএস যোদ্ধারা চলে যায়। দামেস্কের পূর্বদিকে অবস্থিত বাদিয়ার কিছু এলাকা এখনো আইএস যোদ্ধাদের দখলে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা এখনো আইএস যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিবিসি সূত্রে জানা যায়, ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে আগে এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। কিন্তু বর্তমানে শরণার্থী শিবিরটিতে শতাধিকের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী নেই। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২২ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ছয় দশমিক এক মিলিয়ন সিরীয় দেশের অভ্যন্তরে থাকলেও তারা গৃহ হারিয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ দশমিক ছয় মিলিয়ন সিরীয় বর্তমানে দেশের বাইরে শরণার্থী হিসেবে বাস করছে। শরণার্থীদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননে অবস্থান করছে।