যোগাযোগ করে নিশ্চিত করার পরও বিএনপিদলীয় সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। সারা দেশের অন্য সব জেলায় বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া স্বাক্ষর নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তুললেও এখানে কারো সঙ্গে কথা না বলে স্বাক্ষর জালের অজুহাতে সব মনোনয়নপত্র বাতিল করা অযৌক্তিক। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে তিনি এটি করলেন, তা জানাতে ইসির নির্দেশনা চেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে এ-সংক্রান্ত অভিযোগটি জমা দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মির্জা ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমাদের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছেন। আমরা যোগাযোগ করেছি এবং মির্জা ফখরুলও কমিশনে যোগাযোগ করে এটি তার স্বাক্ষর বলে নিশ্চিত করেছেন। এ জন্য প্রার্থীদের হয়রানি না করা এবং তাদের মনোনয়ন গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইসি সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যেহেতু কথা বলার আগেই ডিসি সাহেব মনোনয়ন বাতিল করেছেন এখন তার পক্ষে এটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই।
বিজন কান্তি বলেন, এটা খুবই একটা নির্মম ঘটনা। ৬৪ জেলায় কেউই প্রশ্ন তুলল না, তিনি তুললেন। কনফার্ম করার পরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। তারা এখন আপিল করবেন। আপিল হয়তো গৃহীতও হবে। নির্বাচনী আইনেও বলা হয়েছে, কোনো অভিযোগের কারণে বা কোনো কনফিউশনের কারণে কাউকে যেন নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। মানিকগঞ্জের ডিসি কেন এমন আচরণ করলেন, এটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা আশা করছি আপিলের মাধ্যমে তাদের মনোনয়ন গৃহীত হবে।
ইসিতে পাঠানো মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক দলীয় মনোনয়নপত্রে আমার প্রদত্ত স্বাক্ষর গ্রহণ করছেন না, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছি যে মানিকগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র পাওয়া প্রার্থীরা আমার সুপরিচিত এবং আমি নিজে তাদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করার জন্য মানিকগঞ্জসহ সব জেলা প্রশাসককে ত্বরিত নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।