এলন মাস্কের রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সকে আরো ৭ হাজার ৫১৮টি স্যাটেলাইট পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন। এই স্যাটেলাইটগুলো স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরিতে পাঠানো হবে। স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু এবং যেসব জায়গায় বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানো কষ্টকর সেসব স্থানকেও ইন্টারনেটে যুক্ত করবে স্পেসএক্স।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ নতুন কোনো ধারণা নয়। কিন্তু প্রথাগত ইন্টারনেট স্যাটেলাইটে দ্রুতগতিতে ডেটা আপলোড করা যায় না। স্টারলিঙ্ক নেটওয়ার্ক সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। স্পেসএক্সের দাবি, এই সেবার মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন গ্রাহক। আর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর গতি হবে সেকেন্ডে ৩২ টেরাবাইট।
সেখানে আরো বলা হয়, সাধারণ ইন্টারনেট স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের কারণে ডেটা পাঠানোর গতি কমে যায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে যেসব ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয় তার চেয়ে মহাকাশে ইন্টারনেট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানে বেশি সময় লাগে। সংযোগে বিলম্ব হিসাব করা হয় মিলিসেকেন্ডে। সাধারণ ব্রডব্যান্ড সংযোগে যেখানে বিলম্ব হয় ২০ মিলিসেকেন্ড, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে বিলম্ব হয় ৫৫০ মিলিসেকেন্ড। তবে স্পেসএক্স দাবি করছে, তাদের স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কে বিলম্ব হবে ২৫-৩০ মিলিসেকেন্ড।
বর্তমান ইন্টারনেট স্যাটেলাইটগুলোর এই সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট কিছু কাজেই শুধু এগুলো ব্যবহার করা হয়। সমস্যা দূর করতে অপেক্ষাকৃত নিচের কক্ষপথে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটগুলো পাঠাবে স্পেসএক্স, পৃথিবী থেকে ৩৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের কক্ষপথের ভেতরে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মাত্র কয়েক বছরের জন্য পাঠানো হবে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটগুলো। এরপরই সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে স্যাটেলাইটগুলো।
সফল হলে স্পেসএক্সের আয়ে বড় উৎস হতে পারে স্টারলিঙ্ক প্রকল্প। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিকে ৪ হাজার ৪০৯টি স্যাটেলাইট পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটি।





