আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ

পাবনা ম্যাপ

অপরাধ

দুইজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ১০

আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুলতান খাঁ ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আক্কাস ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খানের অনুসারী।

সংঘর্ষে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাউডাঙ্গা গ্রামের সুলতান খাঁর বাবা লস্কর খাঁ (৭০) এবং একই গ্রুপের মালেক শেখ (৪৭) নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জালাল উদ্দিন। তিনি জানান, ওই এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুলতান গ্রুপ ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে লস্কর খাঁ ও মালেক শেখ নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন এবং আহতদের সবাই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খানের ভাষ্য, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এসব কর্মকাণ্ড করছে। তিনি বলেন, আক্কাস গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও সুলতান ও তার লোকজন কখনো আওয়ামী লীগ করেনি। তারা জাসদ করে। সুতরাং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ বলা যাবে না।

এদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন জানান, আক্কাস ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সুলতান কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যোগদান করেছেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads