প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। সরকার পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
গত ২৫ নভেম্বর সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ হওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের দায়িত্ব পালনে আইনগত বাধা নেই। শুনানিতে সরকার পক্ষে দাবি করা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সিইসিসহ চার কমিশনারের নিয়োগ হয়েছে। তখন রিট না করে দুই বছর পর রিট করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে রিটটি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছিল ‘সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন করে এর বিধান সাপেক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। অথচ এখনো কোনো আইন ও বিধান হয়নি। আইন না করেই সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
রিটে বলা হয় ‘সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে এবং এই সংবিধান ও আইনের অধীনে হবে। স্বাধীন দায়িত্ব পালনের পূর্ব অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে সিইসি হিসেবে কেএম নুরুল হুদাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’