নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশের একজন জনগণের উপর আক্রমণ হলে নারায়ণগঞ্জবাসী আর বসে থাকবে না। তখন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী ঢাকায় গিয়ে উঠবো। দেখবো তখন কে ঠেকায়। আমার কোনো নেতাকর্মীর উপর হামলা করলে আমরা আর লেমন চুসবো না। আমরা জানি বিদেশ থেকে টাকা আসছে। অনেক কিছু হচ্ছে। বিদেশে আর দেশে বসে অনেক পরিকল্পনা করছে। যদি কেউ মনে করেন বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর আঘাত করবেন, নেত্রীর উপর হামলা করবেন তাহলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নিজ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে সারা শহরজুড়েই চলে খণ্ড খণ্ড মিছিল। সংসদীয় এলাকা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে সমবেত হয়। ধীরে ধীরে সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য পরিণত হতে শুরু করে।
শামীম ওসমান বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্য হয়েছে। তিনি ভেবেছেন আমরা স্টুপিড। কারণ তিনি বলছেন ২০ দলের সাথে ঐক্য হয়েছে কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য হয় নাই। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হয়েছে কিন্তু তারেক রহমানের সঙ্গে না। তিনি ভেবেছেন আমরা আহাম্মক। আমরা লেমন চুস খাই। কারণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। আমার লজ্জা লাগে। কারণ ছোটকালে তার কোলে পিঠে উঠেছিলাম।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে শামীম ওসমান উপস্থিত সকলকে হাত মুঠো করিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। এতে শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল থাকার পাশাপাশি নৈরাজ্য মোকাবেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি সকলকে অনুরোধ করবো। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। এ লড়াইয়ে আমরা জিতবো। আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। আবারো ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। সকলকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। শত্রু কিন্তু আমাদের ভেতরেও আছেন। শুনতে পাই যুদ্ধাপরাধী অনেক পরিবারের সঙ্গে আমাদের অনেকের লোকজন যোগাযোগ রাখছেন। বলছেন পরিকল্পনা করছেন শামীম ওসমানকে ঠেকাতে।’
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি প্রমুখ।