আখাউড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। স্কুল খোলার খবরে উৎসাহ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষকদের সাথে দেখা করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি শিক্ষক নিশ্চিত করলে তাদের মধ্যে উৎসাহ আর আনন্দের ঢেউ দেখা যায়। বাড়িতে এসে মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে তারা বলে ওঠে আহা! কী আনন্দ! স্কুল খুলবে। এদিকে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। পরিষ্কার করা হচ্ছে ধুলোমাখা বেঞ্চ, ব্লাক বোর্ড, ক্লাস রুম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারও টাঙানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

সরেজমিনে পৌর শহরের তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নাছরিন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নাছরিন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা মিমি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে নতুন আরেকটি বিদ্যালয়ে যা ভর্তিই ভর্তি হতে পেরে মনে খুব আনন্দ হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারিনি। এভাবেই বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার খবরে আনন্দ পাচ্ছি। ক্লাস করার জন্য অপেক্ষা করছি।

তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী জান্নাতুল মাওয়া ও কাজী আমরিন হাসান বলেন অনেকদিন পর স্কুল খুলবে জেনে তাদের মনে খুবই আনন্দ লাগছে। এতো দিন পর আমরা আবার স্কুলে যাবো, পড়ার টেবিলে বসবো, সবার সাথে দেখা হবে, খেলাধুলা করতে পারবো কী যে আনন্দ। পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক মো. শামসুল আলম বলেন, স্কুল খুলবে এমন খবর শুনে খুব আনন্দ লাগছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা বাড়িতে সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করতো না। স্কুল খোলার খবরে তাদের কাছে খুবই ভালো লাগছে।

গৃহিণী মর্জিনা বেগম বলেন, স্কুল খুলবে শুনে তার কাছে খুব আনন্দ লাগছে। ছেলেমেয়েরা আবার পড়ার টেবিলে বসবে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা খেলাধুলা করে দিন কাটাতো। স্কুলে গেলে নিয়মিত পড়াশুনা খাওয়া দাওয়া সব কিছু যেন একটা নিয়মে ফিরে আসবে। মো. মসজিদ পাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধের কারণে ছেলেমেয়ে বই খাতার কথা যেন অনেকটাই ভুলেই গেছে। স্কুল খোলার খবর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি আরও বলেন তারা ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে এখন শুধু অপেক্ষা করছে। দুটি বছর তারা পড়াশোনা থেকে বাইরে, সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ায় আমরা অভিভাবকরা চিন্তা মুক্ত হলাম ।

তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ১৭ মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি ইঙ্গিত তারা পেয়েছেন বলে জানায়। এরপর থেকেই তারা সব ধরণের প্রস্ততি সম্পন্ন করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমার ক্লাস পরিচালনা করবো। শিক্ষার্থীরা খুবই আন্তরিক রয়েছে। স্কুলে আসার আগ্রহ তাদের অনেক বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads