আইএসআইকে নিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে তারেক-ফখরুল : কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

আইএসআইকে নিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে তারেক-ফখরুল : কাদের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে গোপন বৈঠক করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার, মাস্টারমাইন্ড, দণ্ডিত পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতেৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট চলছে সে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ নেই। তারেক রহমান লন্ডনে বসে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পাকিস্তানের দূতাবাসে গোপন বৈঠকে এই ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচন বাংলাদেশে, ভোট দেবে এ দেশের জনগণ, এতে পাকিস্তানের কী করার আছে। বিএনপি যদি মনে করে, ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এমন ধারণা অবান্তর। দেশের জনগণ সর্ব শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশে যথাসময়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিদেশিদের কাছে স্বীকৃত। দণ্ডিত ও পলাতক আসামির নেতৃত্বে যে দল চলছে তাদের দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী মাত্র সাতজন। এটা ইতিহাসে বিরল। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তারাও প্রত্যাহার করে নেবেন। তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, তাতেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী নিয়ে দুর্ভাবনা হচ্ছে বিএনপির, ঐক্যফ্রন্টের। তাদের জিজ্ঞেস করুন। বিদ্রোহী নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা নেই। তাদের মনোনয়নপত্র টিকেছে ৫৫৫ জনের। এর মধ্যে কয়জন বসেছে। আমার মনে হয় খুবই কমই আছে, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে আছে।’ তিনি আরও বলেন, তাদের ঘরের বিবাদ বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুল নিজেই দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাঁর গাড়িতে, গুলশান অফিসে, পল্টন অফিসে হামলা, দফায় দফায় হামলা হচ্ছে। তালা ভাঙছে, তালা লাগাচ্ছে।

এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ এবং দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads