এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের ২৪টি ইকোনমি দেশ নিয়ে এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) শ্রেষ্ঠ ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি অ্যান্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওয়ার্কার ডাটাবেজ)’ ব্যবহারের জন্য অ্যাসোসিওর পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে।
সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল মাস্টার্স সামিট ২০১৮’-তে অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান ডেভিড অংয়ের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির এবং সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এম রাশিদুল হাসান।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে রাশিদুল হাসান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি, মালিক ও শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে এ বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি অ্যান্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওয়ার্কার ডাটাবেজ) সফটওয়্যারটি সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হয়। এই সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধমে ফ্যাক্টরির সব শ্রমিকের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি, চাকরি ও অন্যান্য তথ্য স্থানীয় ও ক্লাউড সার্ভার ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরে অন্যান্য ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের সঙ্গে সব ধরনের শনাক্ত ও নিশ্চিতকরণ করা যায়। এছাড়া সার্ভিস বুক, ইন্স্যুরেন্স, ইউডি, ক্যাশ ইনসেনটিভ ও অন্যান্য কাজের জন্য এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক ক্লিকেই সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, বর্তমানে সারা দেশে বিজিএমইএ’র ২ হাজার ৩শ’র বেশি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ৩৫ লক্ষাধিক শ্রমিক এ সফটওয়্যার প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকেন। বিশ্বে তথা দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য এই সফটওয়্যার সিস্টেমটির কারিগরি সহায়তা, উন্নয়ন, স্থাপন, প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছে দেশি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি বাংলাদেশ ও সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ২৪টি দেশ থেকে মনোনীত শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টকে চারটি ক্যাটাগরিতে অ্যাসোসিও এই বিরল সম্মাননা দিয়ে থাকে।