বিদেশ

অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাবে মিনামিতোরি দ্বীপ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

জাপানের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এক অর্থনীতিবিদ দেশটির এই দ্বীপকে অভাবনীয় অবিষ্কার হিসেবে দেখছেন। দ্বীপটিতে থাকা প্রায় ১৬ মিলিয়ন টন কাদা এই সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উৎস। কাদায় থাকা বিরল খনিজ পদার্থে এমন কিছু দামি ও বিরল উপকরণ পাওয়া গেছে যা স্মার্টফোন, মিসাইল সিস্টেম, রাডার ডিভাইস এবং হাইব্রিড যানবাহন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইয়িট্রিয়ামের কথা। এই উপাদানটি ক্যামেরার লেন্স, সুপারকন্ডাক্টর এবং ফোনের স্ক্রিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সিএনএন।

জাপানি গবেষকদের প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র মতে, জাপানের উপকূলে থাকা ১২শ’ কিলোমিটার আয়তনের মিনামিতোরি দ্বীপেই আছে বিপুল পরিমাণ খনিজসমৃদ্ধ কাদার উৎস। এই ১৬ মিলিয়ন টন কাদামাটিতে ৭৮০ বছরের ইয়িট্রিয়াম, ৬২০ বছরের ইউরোপিয়াম, ৪২০ বছরের টেরিবিয়াম এবং ৭৩০ বছরের ডায়াসপ্রোসিয়াম মজুদ রয়েছে। গবেষণাপত্রটির মতে, এই উপাদানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ করা সম্ভব। এটা নিঃসন্দেহে একটা বিশাল আবিষ্কার, কিন্তু বিশ্বে ক্রমাগত ওই পদার্থগুলোর চাহিদা বাড়ায় এই দ্বীপটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, এসব খনিজ উপাদান খুব কম পাওয়া যায়। হাতে গোনা কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে ওই পদার্থগুলো বিশ্বে ছড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি মজুত অবশ্যই আমেরিকার প্রযুক্তি খাতের ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। বর্তমানে বিরল খনিজ উপাদানের কর্তৃত্ব একা চীনের হাতে। ২০১৫ সালেও বিশ্বের মোট বিরল খনিজ পদার্থের ৯৫ শতাংশ ছিল চীনের। জাপান এবং অন্য দেশগুলোকে চীনের নির্ধারিত মূল্য এবং সহজলভ্যতার ওপর নির্ভর করতে হয়। যদিও এখন এই খনিজ পদার্থের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ জাপানের হাতে। কিন্তু গবেষণায় জানা যায়, ভবিষ্যতে এমন অনেক খনিজ পদার্থ আরো পাওয়া যাবে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে মাত্র কয়েক হাজার মাইল দূরে মিনামিতোরি দ্বীপের অবস্থান। কৌশলগত দিক দিয়ে ওগাসাওয়ারা গ্রামের দ্বীপটি টোকিও এবং দেশটির অর্থনৈতিক জোটের অংশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads