আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার, বিদ্বেষ ও গুজব ঠেকাতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের এসএমএসে, ওয়েবসাইটে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে কেউ যাতে কোনোভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করতে না পারে ইতোমধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ইসি।
আজ সোমবার বেলা ৩টা নাগাদ নির্বাচন কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সূত্র আরো জানায়, বিটিআরসি এবং সংশ্লিষ্ট অপারেটরদেরকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে ইসি। আর চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিটিআরসিতে কোনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠকের কথা সম্পর্কে শুনেছি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আমি কথা বলে জেনেছি যে বৈঠকের দিন-তারিখ সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগে এসে পৌঁছায়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আগেও এ ধরনের অপপ্রচার ও গুজব ঠেকাতে নানা ধরনের কারিগরি পদক্ষেপ নিয়েছি। তাই কেউ যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সাধনের জন্য কোনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো ক্ষতি সাধন করে তাহলে বিটিআরসি অবশ্যই তার ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে যতগুলো ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত বৈঠক করছি। তারই একটি অংশ হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসা।
তিনি আরো বলেন, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠকে নির্বাচনকালীন সময়ে যাতে তারা তাদের সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে দিতে পারে সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে।
গুজব-অপপ্রচার তো আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, আর এগুলো মনিটর করার কোনো সুযোগ আছে কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই, সেটা ইসি সচিব আলোচনা করবেন বলেও জানান নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা।