অন্ধকারে বীজাগার!

পটুয়াখালীর গলাচিপায় পরিত্যক্ত ইউনিয়ন বীজাগার

ছবি : বিনয় কর্মকার

কৃষি অর্থনীতি

অন্ধকারে বীজাগার!

  • বিনয় কর্মকার, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
  • প্রকাশিত ৭ নভেম্বর, ২০১৮

দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে গড়ে তোলা ৯টি বীজাগার। গলাচিপায় ৯টি বীজকেন্দ্র তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে অচল। সংস্কার না করায় বীজাগারের অতি পুরনো পাকা স্থাপনা বা অবকাঠামোগুলো ধসে পড়ার উপক্রম। কোনো কোনোটি ধ্বংসসূ্তপে পরিণত হয়েছে। সেখানে বীজ সংরক্ষণ, কৃষি প্রযুক্তি সুরক্ষা ও কৃষি বিভাগের কোনো দাফতরিক কার্যক্রমই চলছে না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের জন্য বীজাগার বা বীজকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। আপৎকালের জন্য বীজ সংরক্ষণ কৃষি তথ্য সেবার পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস ও আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এই কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল।

গলাচিপা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সফল কৃষক রহিম মীরা বলেন, একসময় ইউনিয়ন বীজাগার থেকে কৃষকরা আপৎকালে মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করতেন। এসব বীজকেন্দ্র থেকে কৃষকরা কৃষি বিষয়ে নানা পরামর্শ সুবিধাও পেতেন। বর্তমানে কেন্দ্রগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই। উপজেলার কলাগাছিয়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান বলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বীজ সংরক্ষণ ও কৃষি তথ্যসেবার পাশাপাশি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য সিড হাউজগুলো (বীজাগার) গড়ে তোলা হয়েছিল। সংস্কার ও কার্যক্রম না থাকায় এগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে গড়ে তোলা এসব বীজাগারের অবকাঠামো কয়েক যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে এখন পরিত্যক্ত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads