সিলেটে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন চাষ

প্রতীকী ছবি

কৃষি অর্থনীতি

সিলেটে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন চাষ

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর, ২০১৮

সিলেটে চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এবার ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন সম্ভব হবে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী ৩ লাখ ১০ হাজার ৭২১ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৭৩ হাজার ২৮৪ হেক্টর। কৃষি অফিস আরো জানায়, আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর ৪ লাখ ১৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

খরিপ-২ মৌসুমে সিলেট বিভাগের চার জেলায় যথাক্রমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সিলেটে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৯৬ হাজার ২৪৬ হেক্টর, হবিগঞ্জে ৭৫ হাজার ২১০ হেক্টর, সুনামগঞ্জে ৭৪ হাজার ২১৪ হেক্টর।

হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলায় এ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাত ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর ও উফশী ৬৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর নিয়ে এবার এ অঞ্চলে ৮২ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৪০১ হেক্টর বেশি।

সিলেট জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী চাষ হয়েছে ৯৫ হাজার ৫৮৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ৪৫ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। সিলেট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে এবার চাষ হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলায় এবার চাষ হয়েছে ৯৭ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমি। এর মধ্যে উফশী ৯৬ হাজার ৭৪৭ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ১ হাজার ২৩৮ হেক্টর। এ জেলায় ১ হাজার ৭৩৯ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। হবিগঞ্জে ২ হাজার ৯৩৫ হেক্টর বেশি জমি আবাদ হয়েছে। এ জেলায় এবার ৭৮ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ৭৪ হাজার ৮৯৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর।

এবার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৩ টন। এর মধ্যে উফশী ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৬৬ টন ও স্থানীয় জাতের ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ টন। মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সিলেটে উৎপাদন হবে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭৮২ টন, মৌলভীবাজারে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৪ টন, হবিগঞ্জে ২ লাখ ৫ হাজার ৬০ টন, সুনামগঞ্জে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ টন চাল।

কৃষি কর্মকর্তা আলতাবুর রহমান বলেন, কৃষকরা ঠিকমতো ধান ঘরে তুলতে পারলে এবার ১০ লাখ টনেরও বেশি চাল উৎপাদন সম্ভব হবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ধান কাটা শুরু হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads