করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায়ই আছি। আমার তিন দশকের সঙ্গী স্ত্রীও একই ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছি, নিয়মকানুন মেনে চলছি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শুভাকাঙ্ক্ষী-শুভানুধ্যায়ীরা যোগাযোগ করেছেন, আরোগ্য কামনা করেছেন। এখনো পর্যন্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৃপায় ভালোই আছি। বড় ধরনের কোনো জটিলতা এখনো দেখা যায়নি। সবার কাছে দোয়া চাইছি, যেন মহান আল্লাহ এ অভিশাপ থেকে মুক্তি দেন। সেইসাথে এ বৈশ্বিক মহামারীর কবল থেকে পৃথিবীকে যেন তিনি রক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘মাফিস সামাওয়াতে, ওমা ফিল আরদ’-এই আসমান-জমিনের সবকিছুর মালিক আল্লাহ। সুতরাং যে-কোনো বিপদে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া মানুষের আর কোনো গত্যন্তর আছে বলে মনে হয় না। তিনি অসীম দয়ালু এবং দাতা। তিনি ইচ্ছা করলেই মুহূর্তে সব বালা-মুছিবত উঠিয়ে নিতে পারেন। সুরা আল-ইমরানে তিনি সে কথা বলেছেন—তিনি সৃষ্টি করতে পারেন, আবার ধ্বংসও করতে পারেন। সুতরাং আমাদের উচিত তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, যে জাতি তার ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, আমি (অল্লাহ) তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাই না। সুতরাং করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমত কামনার পাশাপাশি আমাদের কিছু করণীয় আছে।
এটা বলা নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবে না যে, প্রতিটি মানুষ যদি তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, তাহলে এই বিপদ থেকে রেহাই পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে পারে। আমরা অনেকেই সব ব্যর্থতার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে সবসময় সিদ্ধহস্ত। এটা ঠিক, এ ধরনের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রধান দায়িত্ব সরকারেরই। কিন্তু একটি কথা মনে রখেতে হবে, কোনো সরকারের পক্ষেই কোনো কাজে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়, যদি না জনগণ সর্বাত্মকভাবে সরকারের সহযোগী হয়। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক, তাদের দায়িত্বটা কী? আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নিদের্শিত বিধিনিষেধ মেনে চলা। কিন্তু আমরা কি সে দায়িত্ব পালন করছি? উত্তর না বোধক হবে সন্দেহ নেই। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার যেসব বিধিনিষেধ জারি করেছে, তা মানতে নাগরিকদের একটি অংশের চরম অনীহা। অশিক্ষিত মানুষদের কথা বাদই দিলাম। অনেক শিক্ষিত সচেতন মানুষকে ওইসব বিধিনিষেধকে থোড়াই কেয়ার করে চলতে দেখা যয়। জনগণের স্বার্থে জারি করা বিধিনিষেধ জনগণই উপক্ষা করছে! এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে!
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর সচেতন মহল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সর্বাত্মক লকডাউনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছিলেন। অনেক ভাবনাচিন্তার পর গত ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরে তার মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় সপ্তাহের লকডাউন চলছে। চলছে না বলে অতিবাহিত হচ্ছে বলাই বরং ভালো। কেননা সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কাজীর গরুতে পরিণত হয়েছে, যা শুধু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই। অনেকটা কতিপয় রাজনৈতিক দলের হরতালের মতো। দোকানপাট সব খোলা থাকে, গাড়িঘোড়া সব চলে, সন্ধ্যার সময় দলগুলো প্রেস ব্রিফিং করে বলে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। ওইসব হরতালের পরদিন পত্রিকাগুলো শিরোনাম করে ‘ঢিলেঢালা হরতাল পালিত’। তেমনি এবার লকডাউন শুরুর পরদিন অনেক পত্রিকার হেডিং ছিল ‘ঢিলেঢালা লকডাউন’।
কেমন চলছ লকডাউন? সামান্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি সম্মানিত পাঠকদের সঙ্গে। গত ২০ এপ্রিল হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। রাস্তায় বেরিয়ে যা দেখলাম, তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছ। এ কী দৃশ্য! রাস্তায় একমাত্র বাস-মিনিবাস ছাড়া সব যানবাহন চলছে। রিকশা-ভ্যানচালক যাদের দেখলাম, তাদের কারো মুখে মাস্কের বালাই নেই। যাও বা দু-চারজনের আছে, তারা সেটাকে সযত্নে থুতনির কাছে গুটিয়ে রেখেছে। এটা রেখেছে সম্ভবত পুলিশের সামনে পড়লে তড়িঘড়ি পরে নেওয়ার জন্য। পথচারীদেরও একই অবস্থা। কেউ কেউ অবশ্য প্রয়োজনেই বেরিয়েছেন। অনেকে আবার খোলা বাতাসে একটু হাত-পা খেলানোর উদ্দেশ্যে। গণমাধ্যম যেসব খবর দিচ্ছে তাতে আশাবাদী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বড় রাস্তায় লোকজনের চলাফেরা কম হলেও অলিগলি এবং বাজারে মানুষ স্বাভাবিক সময়ের মতোই বিচরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে কাউকে প্রশ্ন করলে জবাব পাওয়া যায়, আরে রাখেন ভাই সরকারের বিধিনিষেধ। সরকার কি আমার বাড়িতে খাওন পৌঁছাইয়া দিব? না, সরকার সবার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে বা দিতে পারবে, এমন নিশ্চয়তা কেউ দেবে না। সরকার দেশের আঠারো কোটি মানুষের দেখভাল করছে। সবার ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য কি সরকারের অছে? তবে দরিদ্র-কর্মজীবী, বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় শ্রেণির মানুষদের বিষয়টি অবশ্যই সরকারের মাথায় রাখতে হবে। এখানেও ঝামেলা আছে। ঐতিহ্যগতভাবেই আমরা রিলিফ আত্মসাৎকারী দেশের নাগরিক। যখনই কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দেশ পতিত হয়, কতিপয় মানুষ তৎপর হয়ে ওঠে তহবিল মোটাতাজাকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে। রিলিফের চাল, গম, ডাল, তেল, টিন, কম্বল, বিস্কুট, ছাতু কিছুই বাদ যায় না তাদের খাদ্য তালিকা থেকে। ভুখা নিরন্ন মানুষের জন্য আসা রিলিফসামগ্রী চলে যায় চেয়ারম্যান-মেম্বার, নেতা-পাতিনেতা, হোমরা-চোমরাদের উদরে। যাদের জন্য রিলিফ আসে, তাদের ভাগ্যে জোটে না কিছুই। করোনা আক্রমণের প্রথম ধাক্কার সময়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে। সরকারি সাহায্যের একটি বড় অংশ চলে গেছে স্থানীয় নেতাদের পকেটে। তা ছাড়া অনিয়ম ও অব্যস্থাপনার কারণেও হতদরিদ্র মানুষগুলো অনেক সময় বঞ্চিত থেকে যায়।
যাহোক, কথা বলছিলাম দায়িত্ব পালন নিয়ে। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও ঘটছে নানা ঘটনা। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি পালনে সহায্য করার জন্য মোতয়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানরকম ঝামলায় জড়িয়ে পড়ছেন। কোথাও কোথাও তা বািবতণ্ডা, এমনকি অপ্রীতিকর ঘটনারও জন্ম দিচ্ছে। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা নিয়ে ডাক্তার, পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের বাগ্যুদ্ধের ঘটনা। গোটা দেশের মানুষ অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছে প্রকাশ্য রাস্তায় তিনজন শিক্ষিত এবং দায়িত্ববান সরকারি কর্মকর্তার ঝগড়া। পদ মর্যাদায় তারা কে বড় সে বিচারে আমরা নাই-বা গেলাম। তবে তারা যে করোনার মহাদুর্দিনে জাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন তা তো অস্বাীকার করা যাবে না। একজন চিকিৎসক, একজন ম্যাজিস্ট্রেট আর একজন পুলিশ কর্মকর্তা। চিকিৎসক মহোদয়া তার গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন কর্মস্থলে। পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে তার পরিচয়পত্রটি সঙ্গে ছিল না। তবে তার গাড়িতে চিকিৎসকের স্টিকার লাগানো ছিল, তার গায়ে চিকিৎসকের অ্যাপ্রন ছিল। ঘটনাটা শুরুতেই শেষ হয়ে যেতে পারত, পুলিশ কর্মকর্তা যদি বলত, ম্যাডাম, এরপর পরিচয়পত্র কাইন্ডলি সঙ্গে রাখবেন; কিন্তু তা হয়নি। তাদের ত্রিমুখী ঝগড়া শেষ পর্যন্ত টেনে এনেছে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও। ডাক্তার মহিলা যখন বললেন যে তিনি একজন বীরবিক্রমের কন্যা, তখন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবও পিছিয়ে থাকলেন না। তারাও তাদের কণ্ঠস্বর সপ্তগ্রামে তুলে জানিয়ে দিলেন, তাদের বাবাও মুক্তিযোদ্ধা। হতেই পারে। এদেশে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই বলে তো এমন নয় যে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আইনের ঊর্ধ্বে বা তাদের সন্তানরা আইন প্রয়োগের নামে কাউকে হেনস্তা করার অধিকার রাখেন? সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ঘটনাটি নিয়ে চিকিৎসক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছে স্ব-স্ব গোত্রের সদস্যেরে পক্ষ নিয়ে। ঠিক যেন শ্রমিক সংগঠন। পুলিশ, বিসিএস ক্যাডার বা চিকিৎসকদের সংগঠন তো ট্রেড ইউনিয়ন নয় যে, তারা পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি দেবে, ধর্মঘটে যাবে, হামলা হুজ্জতি করবে। তারা তো অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা কাণ্ডজ্ঞানহীন শ্রেণির মানুষ নন। তারা নিজেদের দায়িত্ব এবং তা প্রয়োগের অধিক্ষেত্র সম্পর্কে নিশ্চয়ই সচেতন। কিন্তু রাষ্ট্রের ওই তিন কর্মকর্তার ঝগড়া দেখে তা মনে হয়নি। মনে হয়েছে, তারা নিজেদের বড়ত্ব ও দাপট প্রদর্শনকেই অত্যাবশ্যকীয় কাজ বলে মনে করেছেন। কিন্তু তারা কেউই এটা খেয়াল করেননি যে, যখন তারা ঝগড়ায় লিপ্ত ছিলেন, তখন আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষগুলো দাঁত কেলিয়ে হাসছিল। জনসমক্ষে নিজেদের হাস্যাস্পদ করার কর্মটি তারা কেন করলেন তা একটি বিরাট জিজ্ঞাসা।
ওই ঘটনার পরে আরো একটি ভিডিওক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এবার ঘটনার পাত্র-পাত্রী এক নারী আইনজীবী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা। সেখানেও সেই একই কাহিনী। ক্ষমতার দাপট দেখানোর অসুস্থ প্রবণতা। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত। তাদের ওপর এই মহামারীকালে অতিরিক্ত দায়িত্ব চেপেছে মানুষ যাতে সরকার কর্তৃক জারি করা বিধিনিষেধ পালন করে তা নিশ্চিত করে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কেউ কেউ যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যান, তখনই ক্ষমতার পরিধি নিয়ে কথা ওঠে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর পুলিশ কর্তৃপক্ষ ‘মুভমেন্ট পাস’ নামে এক অভিনব জিনিস সংগ্রহ করার জন্য নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এদেশে কজন মানুষ আছেন যাদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান আছে এবং ওই পাস সংগ্রহ করতে পারবে? তা ছাড়া বাংলাদেশে এ ধরনের পাস ইস্যু করার কোনো আইনগত অধিকার কোনো সংস্থারই নেই। এ পাস ইস্যুর সিদ্ধান্তের আগে এ সম্পর্কে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা গত ২১ এপ্রিল তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন—‘ডাক্তারের পর এবার সাংবাদিক নাজেহাল। সাংবাদিকের মোটরসাইকেল জব্দ। কারণ, মুভমেন্ট পাস না থাকা। প্রথমত, সাংবাদিক-ডাক্তারদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না, পরিষ্কার করে তা বলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুভমেন্ট পাসের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তার মানে মুভমেন্ট পাসকে বেআইনি বলার সুযোগ আছে। তৃতীয়ত, সরকার লকডাউন নামে ‘নিষেধাজ্ঞা’ ‘বিধিনিষেধ’ ১৮ দফা ও ১৩ দফার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তার কোথাও ‘মুভমেন্ট পাসের’ কথা উল্লেখ নেই। চতুর্থত, আইনগত ভিত্তি ছাড়া এমন পাস ইস্যু করার সুযোগ নেই পুলিশের। পঞ্চমত, এই পাস কারো কাছে চাওয়া ও না থাকলে হয়রানি করার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বেআইনি। গোলাম মোর্তজার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। পুলিশ প্রশাসন যখন এ পাস ইস্যু করার কথা ঘোষণা করে, তখন কি তারা এর আইনগত দিকটি নিয়ে ক্ষণেকবার ভেবেছিলেন? পুলিশ রাষ্ট্রের একটি অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। তারা জনস্বার্থে বা জনকল্যাণে যে-কোনো উদ্যোগ নিতে পারে। তবে তার আগে ভাবনায় রাখতে হবে এর আইনগত সঠিকতার বিষয়টি। পাশাপশি সেসব সিদ্ধান্ত পাবলিক ন্যুইসেন্স সৃষ্টির হাতিয়ারে পরিণত হবে কি না তাও বিবেচনায় রাখা দরকার। কারণ আমাদের দেশে ধরে আনতে বললে বেঁধে আনার লোকের অভাব নেই। এদের কেউ কেউ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের অধিক্ষেত্রকে অবলীলায় অতিক্রম করে যায়। এটা কোনোমতেই কাম্য হতে পারে না।
যে চরম বিপদের মধ্যে আমরা বর্তমানে আছি, এ থেকে পরিত্রাণ কীভাবে পাব তা এখন সবারই চিন্তার বিষয়। সময়টা বিপদের। এই সময়ে একে অপরকে সহযোগিতা করাটাই জরুরি। আমিত্বের লড়াইয়ের সময় এটা নয়। আল্লাহ গফুরুর রহিম আমাদের এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক