‘বাল্যবিয়ে জাতির জন্য অভিশাপ’

‘বাল্যবিয়ে জাতির জন্য অভিশাপ’

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

‘বাল্যবিয়ে জাতির জন্য অভিশাপ’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

বাল্যবিয়ে দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ। অনেক সময় নিরীহ মানুষ প্রভাবশালীদের চাপে ও প্ররোচনায় মেয়েদের বাল্যবিয় দিতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, ব্যাপক সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা।

মেয়র বলেন, ডিএনসিসির সংরক্ষিত আসনসহ ৪৮ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কোমলমতি শিশুদের সুরক্ষা এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, নিম্নআয়ের লোকজন নগরীর বস্তিতে বসবাস করেন। সেখানে বাল্যবিয়ে এবং শিশু শ্রম রোধে কাজ করতে হবে। সব শিশুকেই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে সরকারের চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। জামাল মোস্তফা বাল্যবিয়ে বন্ধে সরকার নিয়োগ করা নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজী) সতর্ক করে বলেন, বিয়ে পড়ানোর আগে ছেলে-মেয়েদের বয়স যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। অন্যথায় বাল্যবিয়ের অপরাধের জেলা এবং জরিমানা ভোগ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে  বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং শিশু শ্রম বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ  চলমান রয়েছে। আর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা ইউনিসেফ  ও বেশ কিছু দাতা সংস্থা এদেশীয় এনজিওগুলোকে অর্থায়ন করছে। তবে এই কাজে  সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তারা ঘরোয়াভাবে নানা কর্মসূচির নামে দাতা সংস্থার বিশাল অঙ্কের অর্থ বিশাল করলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে কৌশলে গণমাধ্যমকেও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে যেসব কার্যক্রম চলছে সেগুলোয় অনিয়ম হচ্ছে কি না সেগুলো তদন্ত করে দেখারও দাবি জানান তারা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী, রজ্জব আলী ও ইউনিসেফের প্রতিনিধি তানিয়া সুলতানাসহ আরো অনেকে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads