দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসার পর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশাসনে রদবদলের দাবি উত্থাপনকে অবান্তর বলেই মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতেই এ ধরনের উদ্ভট দাবি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
প্রশাসনে রদবদল নিয়ে বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি প্রশাসনের রদবদলের নামে যে দাবি করেছে, এটি করতে হলে তো একেবারে পুরো সরকারকেই ওলট-পালট করতে হয়। পুরো সরকারই বদল করতে হয়। তারা তো মেনেই নিয়েছে এই প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করবে। এখন তো এই প্রশ্ন অবান্তর। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সমাবেশ করেছেন, যেটি নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এখন তো সমাবেশ করার কথা না। আমরা চাই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড, যে কথা বলছি সেটা মনেপ্রাণে আমরা বিশ্বাস করি।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কী বলেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, তারা ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আমরা সব সময় বলছি আইন সবার জন্য সমান। বিএনপির কোনো কোনো নেতা নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের পর কোথায় থাকে আমরা দেখব। কিংবা আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় থাকে আমরা দেখব। তার মানে কী? এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি। এ বিষয়ে কমিশনকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে বলেছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সবার জন্য সমান সুযোগ চায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, সবার জন্য স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক যারা আসবেন, তাদের নির্বাচনী আইন এবং পর্যবেক্ষক নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। দেশে ১১৮টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে। বিদেশ থেকেও যদি এরকম পর্যবেক্ষক আসতে থাকে, তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে।
