কৃষি অর্থনীতি

‘দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার হতে পারে ব্ল্যাক বেঙ্গল’

  • ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

ব্ল্যাক বেঙ্গলকে পৃথিবীর সেরা জাতের ছাগল হিসেবে অভিহিত করা হলেও আন্তঃপ্রজনন ও অন্যান্য অবৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার কারণে ছাগলের এই দেশি জাতটি প্রায় হারিয়ে যাচ্ছিল। এ উপলব্ধি থেকে ব্ল্যাক বেঙ্গলের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানোর লক্ষ্যে বাকৃবিতে কৃত্রিম প্রজননের প্রকল্প শুরু করা হয়। আমরা গবেষণায় দেখেছি, প্রাকৃতিক নিয়মের বদলে হিমায়িত কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির সাহায্যে একই পরিমাণ বীজ দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ছাগীকে প্রজনন করানো যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই হিমায়িত বীজ দিয়ে কৃত্রিম প্রজননে ছাগীর বাচ্চা ধারণক্ষমতা ৫০ শতাংশের বেশি, যা গাভির বাচ্চা ধারণক্ষমতার প্রায় সমান। এ ছাড়া জিনোম সিকোয়েন্স ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজননে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গবেষণার ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

এ জাতের ছাগল বছরে দুবার বাচ্চা দেয়। ফলে ছাগলের প্রজননের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। ভরণপোষণে অল্প খরচ, একসঙ্গে কয়েকটি বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা, সাধারণ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং দ্রুত বর্ধনশীল বলে এ জাতটি দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার হতে পারে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads