স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। গতকাল সংসদে সরকারি দলের
‘আগামী মাসে সেলিম আলতাফ জর্জের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো জানান, ঘৃণাস্তম্ভ স্থাপন প্রকল্পের জায়গা নির্বাচনের কাজ চলছে।
তিনি এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের প্রত্যেক এলাকায় সেখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা টানিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অচিরেই এ প্রকল্প একনেকে উত্থাপন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের এসব বাড়ির নাম ‘বীর নিবাস’ রাখা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পৃথক পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী আগামী মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।