দীর্ঘ ৫ বছর পর আগামীকাল বুধবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অনুষ্ঠিত জনসভায় ভাষণ দিয়ে শুরু করবেন নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন তিনি। এদিকে দীর্ঘ ৫ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আসার খবরে শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য অধির অগ্রহে রয়েছে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশ্যে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে পৌঁছে প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর দুপুরে কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার মধ্যে দিয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

দীর্ঘ ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটালীপাড়া আসার খবরে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। অধির আগ্রহ রয়েছে শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য। কখন ঘরের মেয়ে ঘরে আসবে যেন অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। শুধু গোপালগঞ্জ নয় প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য মাদারীপুর, বাগেরহাট, খুলনা, বরিশাল, নড়াইল, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ সমাবেশ স্থলে এসে হাজির হবেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিন রাত কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থল কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী শীর্ষ কর্মকর্তারা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। জনসভার মঞ্চ তৈরীসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াসহ সারা জেলায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এদিকে, কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এসএসএফ এর উপস্থিতে সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয়সভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএসএফের কর্নেল শামীম, গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পৌর মেয়র মো. কামাল হোসেন শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান, ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও জেলার আইনশৃঙ্ঘলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলার সকল দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক নারায়ন চন্দ্র দাম বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর পর আমাদের প্রিয় নেত্রী কোটালীপাড়া আসছেন। এক নজর দেখার জন্য আমারা অধির আগ্রহে রয়েছি। কখন প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখতে পারবো।

আওয়ামী লীগ নেতা কমল সেন বলেন, ৭৫ পরর্বতী আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে আবারো ভোট দিবে।

কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মো. কামাল হোসেন শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে কোটালীপাড়ায় আনন্দের বন্যা বইছে। এখানের জনসভায় ভাষনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা শুর করবে। এবারের নির্বাচনে একশ ভাগ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জয়যুক্ত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কোটালীপাড়ায় জনসভার মধ্য নির্বাচনী প্রচারনা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্থানীয় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে এক’শ ভাগ ভোট দিয়ে জয়ী করার অধীর আগ্রহে রয়েছে ভোটারা। তার এই সভাকে সফল করতে দলীয়ভাবে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বেশি নজর দেওয়া হয়েছে।