৩২১ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আবার সুযোগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি: বাসস

সরকার

৩২১ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আবার সুযোগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১ নভেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৩২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ পুনর্নির্বাচিত হলে দেশের আরো উন্নয়ন সাধিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতটুকু একটা দেশ, ১৬ কোটি মানুষ, তাদের জন্য যতটুকু দরকার তা এই অল্প সময়ে আমরা করতে পেরেছি এবং আমাদের অনেক পরিকল্পনা এবং তা আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করে যাব। জনগণ আগামীতে ভোট দিলে আরো উন্নয়ন হবে।’

তিনি এসময় বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে অব্যাহত রাখার এবং আরো জোরদার করাও নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষকে একটা সুস্থ, সুন্দর জীবন দেওয়া এবং সমাজটাকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ-মাদক থেকে মুক্ত করে একটা উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো, সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন দেশের ৫৬টি জেলায় এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর মধ্যে ২৯৭টি প্রকল্প তিনি উদ্বোধন করেন এবং ২৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে এ দিন সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা তাদের এক লাখ করে টাকা দিচ্ছি। তারা নিজ নিজ গ্রামে কাজ করে খেতে পারবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারবে।’

দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দস্যুতা ছেড়ে দেওয়া লোকজনকে সমাজে পুনর্বাসনে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সুন্দরবনের ছয়টি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৫৪ সক্রিয় সদস্য বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বাগেরহাট ছাড়াও, পিরোজপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকার উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টর এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার সঙ্গে স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads