বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘আমরা আইন মানবো। যদি অস্পষ্টতা দূর করা হয়। বর্তমান সড়ক পরিবহন আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর মধ্যে আমরা কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করবো না। তবে ৩০ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি দেয়া হবে’।
গতকাল শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ধানমণ্ডির বাসায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সর্বশেষ পরিস্থিতি ও বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও শাহজাহান খান।
শাহজাহান খান বলেন, বলা হয়েছে নিয়োগপত্র ব্যতীত গাড়ি চালাতে পারবে না। কিন্তু আইনে বলা নেই নিয়োগপত্র না দিলে তাহলে কি হবে? কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এ ধরনের আরও কিছু অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এগুলো দূর করে আইনের একটা সংগতি এবং স্পষ্টতা আনকে আমরা বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা আইন মানি না একথা কেউ বলিনি। আমরা কেউ বলিনি যে জেল কমাতে হবে। আমরা শুধু বলেছি জরিমানা ব্যাপারটা। এই জরিমানা এমনভাবে করা হয়েছে যে একজন ড্রাইভার তার পক্ষে এত বেশি জরিমানা দেয়া কঠিন ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যে যে জায়গাগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন সরকার যদি সেগুলো যুক্তিসংগত মনে করে সংশোধন করে তবে আমরা মেনে নেব। আর সরকার যদি মনে করে সংশোধন প্রয়োজন নেই আর সেটা যদি আমরা মনে করি আসলেই প্রয়োজন নেই তাহলে আমরা সেটা মেনে নেব। এক্ষেত্রে আমরা বলব না যে আমরা আন্দোলন ধর্মঘট করব।
তিনি আরও বলেন, ধর্মঘট করা আমাদের পেশা নয়। আন্দোলন করা আমাদের পেশা নয়। আমরা যখন বিপদগ্রস্ত হই তখন কথা বলি। তখন যদি সরকার আমাদের কথা না শুনে, বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হয়। ধর্মঘট করার মতো কোনও ইচ্ছা আমাদের নাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এরপর থেকে আইন প্রয়োগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। মালিক-শ্রমিকরা আমাদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা কিছু সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু সুপারিশ অনুযায়ী আইনের কিছু ধারা সংশোধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এ নিয়ে আমরা শাহজাহান খানের নেতৃত্বে পরিবহন নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।