বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ জোগাড় করতে সরকার ২০০ কোটি ডলারের এনার্জি বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি খাতে উদ্ভাবনী বিনিয়োগ খোঁজা হচ্ছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের আরামকো ও চীন সরকার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে জ্বালানি উৎপাদন খরচ কম। বাংলাদেশে বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ সম্ভব নয়। কারণ আমাদের বাজার এখনো স্মার্ট নয়। সরকারকেই মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। আমরা বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করব, তবে এক লাফে অনেক বৃদ্ধি করব না।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা বিদ্যুতের অনেক খরচ কমিয়ে আনতে পেরেছি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস ছিল। এখন চট্টগ্রামে সিস্টেম লস সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। তবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো সময় লাগবে। তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো দেশের মোট উৎপাদনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। অনুষ্ঠানে সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি খাত হলো সবচেয়ে অগ্রাধিকারের খাত। জ্বালানির উৎপাদন থেকেই একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বোঝা যায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ম তামিম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিব্রেট, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জুবায়ের, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের বিদ্যুৎ খাত বিশেষজ্ঞ একেএম আবদুল্লাহ, খুলনা পাওয়ারের মহাব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
