উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চারটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষের। এতে প্রতিনিয়ত লেগে যাচ্ছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলার মাওয়া-ঘোড়দৌড়-মালিরঅংক-বালিগাঁও হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর পর্যন্ত চলাচলের প্রধান আঞ্চলিক সড়ক এটি। লৌহজং উপজেলাসহ টঙ্গীবাড়ী, শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে এ সড়কটি দিয়ে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত আঞ্চলিক সড়কটির ১৫ কিলোমিটার জুড়েই খানাখন্দে ভরা। গত বছরের শুরুতে এ সড়কের মেরামতের কাজ করলেও তার কয়েক মাস পর আবারো ভেঙে যায় সড়কটি। নিম্নমানের কাজের ফলে সড়কটি দ্রুত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা হলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবেন এ সড়কের মানুষ।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকলেও আগামী বছরের শুরুতে এ সড়কের সংস্কার কাজ করার আশ্বাস দেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে অঞ্চলের এ প্রধান সড়কটির জনদুভোর্গ কমাতে শুধু আশ্বাস নন দ্রুত বাস্তবায়ন চান স্থানীয়রা।
আবুল, সোবাহান, আফজালসহ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, এ সড়ক দিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে বালিগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। মাঝে মাঝে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায়ও যাওয়া হয়। তবে দুঃখের বিষয় এ সড়কটি ভাঙা। সড়কভর্তি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে একহাঁটু পানি জমে যায় বিভিন্ন জায়গায়। বৃষ্টিতে পানি জমলে কোথায় কোথায় ভাঙা রয়েছে সেটা বুঝা মুশকিল। যার ফলে অটোরিকশা প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান জানান, মাওয়া-ফতুল্লা সড়কটির প্রায় ৩০ কিলোমিটার সংস্কার কাজের অনুমোদন আসছে চলতি অর্থবছরে। তবে করোনাকালে এ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছোট-বড় কাজ স্থ্থগিত করা হয়েছে। তাই এ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে এ সড়কের সংস্কারের কাজ ধরা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা কাজের টেন্ডারও দিয়ে ফেলেছি। আগামী অর্থবছরের শুরুতেই কাজ ধরা হবে। আশা করছি, এ কাজের পরে ৩/৪ বছরের মধ্যে এই সড়কে কাজের জন্য কোনো হাত দিতে হবে না। কেননা বড় বাজেটে উন্নতমানের কাজ করা হবে।