১২ নভেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুরে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার মানুষ

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ

১২ নভেম্বর ভয়াল রাতে লক্ষ্মীপুরে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার মানুষ

  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর, ২০১৮

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে মহাপ্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। প্রলয়ংকারী এই রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ৮ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। স্রোতে ভেসে যায় নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ।

স্বজনহারারা জানান, সে দিন রেডিওতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেওয়া হয়। কিন্তু উপকূলে পর্যাপ্ত রেডিও ছিল না। যাদের ছিল তারা বিশ্বাস করেনি। ওই দিন সকাল থেকেই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ছিল। সন্ধ্যায় থেকে হালকা বাতাস শুরু হয়। গভীর রাতে ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। যার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২২ কিলোমিটার। ঝড় আর পাহাড়সমান স্রোতে লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় উপকূল।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা উপকূলীয় চরআবদুল্লাহ কমলনগরের ভুলুয়ানদী উপকূলীয় চরকাদিরাসহ নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় এটি হানা দেয়। চারিদিকে লাশ আর লাশ, লাশের গন্ধে মানুষ কাছে যেতে পারেনি। ৩-১০ ফুটের জলোচ্ছাসের কারণে মাটি দেওয়া যায়নি মৃত মানুষগুলোকে।

১২ নভেম্বর এলেই নির্দিষ্ট কিছু সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করে। মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানী ও নিহতদের স্মরণে স্মৃতিচারনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads