নিজস্ব প্রতিবেদক: হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন। এসব অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোহসিন বলেন, গত ২৩ আগস্ট হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের অধীন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সাবেক কর্মচারী নুরুজ্জামান ও তার কতিপয় অনুসারী হোটেলটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। শুধু তাই নয়, পরদিন তারা হোটেলের বাইরে বহিরাগতদের নিয়ে জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর আমাদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে তাদের এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু, পরিতাপের বিষয় নুরুজ্জামান গং ৩০ আগস্ট আবারও সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ তোলে এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়নাঘর আছে বলে প্রচার করে, যা একেবারেই মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নুরুজ্জামান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই সময় তিনি ও তার অনুসারীরা দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অনৈতিক কার্যকলাপ এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগে চাকরি হারান। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, নুরুজ্জামান চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর ৫ মাস ধরে কোয়ার্টার দখল করে সেখানে অবস্থান করছেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন একটি নির্দলীয় ইউনিয়ন হলেও নুরুজ্জামান এটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা হোটেলের ৫০ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হোটেলটি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান। অথচ, নুরুজ্জামান কোন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই হোটেলের বিরুদ্ধে মনগড়া দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন, যার কোনো সত্যতা নেই। হোটেলটি একটি বহুজাতিক অপারেটর দ্বারা পরিচালিত। অথচ, নুরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবীরসহ অন্য নেতারা।