গেল কয়েক বছর ধরে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হলেও চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে লক্ষ্য মাত্রার তিন গুণ রাজস্ব অদায় করেছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রাজস্ব আদায়ের এই সফলতাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বন্দরটিকে আধুনিকায়ন করা হলে রাজস্ব আদায়ে পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনি প্রসার হবে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যে।
করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস থাকার পর গত ৮ই জুন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়। প্রথম দিকে সিমিত পরিসরে আমদানী-রপ্তানি চালু হলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দর ফিরে পেয়েছে তার কর্মচাঞ্চল্যতা। তবে আগের তুলনায় রাজস্ব আদায় বাড়লেও বাড়েনি এখানকার সেবার মান।
হিলি স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দরের রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা, দীর্ঘদিনেও গড়ে উঠেনি কোন ট্রাক টার্মিনাল। এতে করে রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে থাকতে হয় পণ্য নিতে আসা ট্রাক গুলো। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট, সমস্যায় পরতে হচ্ছে পথচারীদের।
হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার জানান, গেলো তিন (আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর) মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় তিনগুন বেশি আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষমাত্রর চেয়ে আরও বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে সব ধরনের পণ্য আনার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমানে ভারত হতে বিভিন্ন প্রকার পাথর, খৈল, ভুট্রা, জিরাসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য আসছে।