ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। শনিবার দুপুর ১২টার দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের সামনে বসে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘আমার মায়ের অপমান মানবো না, মানবো না’, ‘আমার মা নির্দোষ, নির্দোষ, নির্দোষ’, ‘মুক্তি চাই মুক্তি চাই আমার মায়ের মুক্তি চাই’, ‘হাসিনা আপার মুক্তি চাই সুষ্ঠু তদন্ত চাই’য়ের মতো বিভিন্ন স্লোগান লেখা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মায়ের মতো শিক্ষককে বিনা অপরাধে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমার মাকে ছাড়া আমরা আর ক্লাসে যাবো না। যত দিন আমাদের মাকে ক্লাসে ফিরিয়ে দেওয়া না হবে, তত দিন আমরা ক্লাস বয়কট করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া মাহমুদ মৃত্তিকা সাংবাদিকদের বলে, সিসিটিভি ও অন্য সবকিছুতে হাসনা হেনা আপার সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি। তারপরও যাদের মূল আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তাদের গ্রেফতার না করে হাসনা হেনা আপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এবং আপার মুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। তাকে মুক্তি দেওয়া না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। তবে রোববার সকাল ৮টা থেকে আবারো একই স্থানে আন্দোলন ও বিক্ষোভ শুরুর কথা জানিয়েছেন তারা। গেল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।