ক্যাম্পাস

হাবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘বহিষ্কার’

  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

মোঃ আবু সাহেব, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র‍্যাগিং প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের লক্ষ্যে ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা ২০২১’ শিরোনামে ৯ টি ধারার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই নীতিমালা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত এই নীতিমালায় প্রথম ধারায় নীতিমালার শিরোনাম উল্লেখ করে পরের ধারা ‘প্রয়োগ ও প্রবর্তন’ অনুযায়ী এই নীতিমালা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে র‍্যাগিং থেকে বিরত রাখতে তৈরী করা হয়েছে এবং এই নীতিমালা অনুযায়ী কেউ র‍্যাগিং-এ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা যায়।

নীতিমালাটিতে শিক্ষার্থী, র‍্যাগিং, এন্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড, কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক, কমিউনিটি, শাস্তি এসবের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়।

নীতিমালা অনুসারে, কাউকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলা বা লেখা যা খারাপ কোন কিছুর প্রতি ইঙ্গিত বহন করে, উপহাস করা, খারাপ নামে সম্বোধন করা বা ডাকা, অশালীন শব্দ ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া ইত্যাদিকে মৌখিক র‍্যাগিং বলা হয়েছে। কাউকে কোন কিছু দিয়ে আঘাত করা, চড়-থাপ্পর মারা, লাথি মারা, ধাক্কা মারা, খোঁচা দেয়া, থুথু মারা, বেঁধে রাখা, কোন বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বা বসিয়ে বা বিশেষ অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া অথবা বাধ্য করা, কারো কোনো জিনিপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়া বা ভেঙ্গে ফেলা, মুখ দিয়ে অশালীন বা অসৌজন্যমূলক অঙ্গভঙ্গি করাকে শারীরিক র‍্যাগিং বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী যেন র‌্যাগিং নামক অপসংস্কৃতির শিকার হয়ে তার শিক্ষা জীবনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে, যেন ঝরে না পড়ে আজন্ম লালিত কোন স্বপ্ন, তার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই র‌্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে এই র‌্যাগিং থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।

কেননা বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যদি র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রকার শাস্তি প্রদান করা হবে। এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান ছাত্রত্ব বাতিল (বহিষ্কার) পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই সকলকে র‌্যাগিং থেকে বিরত থাকার জন্য আবারও জোর আহবান জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. ইয়াছিন প্রধান বলেন, ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং বন্ধে প্রক্টোরিয়াল বডি সবসময় তৎপর রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পাসে প্রচারণা করা হবে। র‍্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যদি কারো দ্বারা র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়, তাহলে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে পারবে এবং যদি সে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সবোর্চ্চ শাস্তি বহিস্কার করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads