হাতিরঝিলের নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ বন্ধ থাকছে

রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প

সংরক্ষিত ছবি

মহানগর

হাতিরঝিলের নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ বন্ধ থাকছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের মূল নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। একই সঙ্গে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং নকশা অনুসারে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পকে রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না মর্মে জারি করা রুল আগামী দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই এলাকার ব্যবসায়ী আবু বকর মিয়াসহ ১২ জনের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে গতকাল রোববার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রুলের শুনানি হবে।

আদেশের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, রাজউক আবেদনকারী ১২ জন ব্যবসায়ী থেকে বরাদ্দ নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন। ভাড়া-পজেশন বাবদ তাদের কাছ থেকে ১০-১৫ কোটি টাকা করে নিয়েছে রাজউক। রিট আবেদনের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আমাদের পক্ষভুক্ত না করেই হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা নিয়েছিলেন। পরে যখন আদেশটি জানতে পারলাম, তখন রাজউকের বরাদ্দ আদেশ ও ভাড়ার কাগজপত্র দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে আমরা লিভ টু আপিল করেছি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাত দিনের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ প্রকল্পকে রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রকল্প পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ ছাড়া আদালতের আদেশের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই দিন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১ আগস্ট ‘নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রাউজক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নকশাবহির্ভূত কতিপয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে হাতিরঝিলে। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, প্রকল্প চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অবৈধ রেস্তোরাঁসহ নানা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু হয়েছে। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনি এর সৌন্দর্য হারানোর শঙ্কাও রয়েছে। মূল নকশার বাইরে অবৈধ স্থাপনার কার্যক্রম সবার চোখের সামনে চললেও রাজউক নিষ্ক্রিয়। একই সঙ্গে আদালত রাজউকের চেয়ারম্যান, ডিএমপি কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রকল্প পরিচালককে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রতিনিয়ত তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে তাদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads