সারা দেশ

হাটে নতুন আমন ধান উঠলেও দামে অসন্তোষ কৃষকের

  • ''
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর, ২০২৩

কাহালু( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার কাহালুতে  হাট বাজারে নতুন আমন ধান উঠেছে।  ১১শ - ১১৫০ টাকা মণ দরে  ধান বেচা কেনা হচ্ছে। আর সুগন্ধি কাটারি ভোগ প্রতি মণ ১৩শ থেকে ১৪শ  টাকা। হাট বাজারে  বর্তমান ধানের দামে কৃষকদের মনে অসন্তোষের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কৃষকরা যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই কৃষকদের উৎপাদিত ধানের দাম কম হওয়ায়  বিপাকে কৃষক। সরকার কৃষি উপকরণ সহ সারের দাম বাড়ানোর ফলে ধানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শ্রমিকের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে একজন কৃষকের পক্ষে খাদ্য উৎপাদন সহ   সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চলতি আমন মৌসুমে সরকার ধানের দাম ৩০ টাকা কেজি  নির্দ্ধারিন করে দেয়। সেই হিসেবে ১ মণ ধানের বাজার মূল্য ১২ 'শ টাকা। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য কম দামে  বিক্রি আর কৃষি উপকরণ সহ সার বেশি দামে কিনে কৃষকরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে পারছেন না।  কৃষক মনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

  শুক্রবার উত্তরান্চলের বৃহৎ পাইকারি ধানের হাট  বগুড়া - নওগাঁ মহাসড়কের পাশে কাহালুর বিবিরপুকুর হাটে আগাম জাতের রন্জিত ধান প্রতি মণ ১১শ  -১১৫০ টাকা ও সুগন্ধি কাটারি ভোগ ১৩শ - ১৪শ  টাকা মণ দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে । হাটে  ধানের আমদানি কিছুটা কম হওয়ায় স্থানীয় চাতাল মিল মালিকরা  এখনই  ধান না কিনলেও এক শ্রেণির ফড়িয়ারা এসব ধান কিনছেন। সরকার চলতি আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৩০  টাকা কেজি দরে  ধান ও ৪২ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করার ঘোষণা দিলেও সরকার নির্দ্ধারিত মূল্যের চাইতে বাজারে বর্তমানে ধান চালের মূল্য মণে ১শ টাকা কমে বেচা কেনা হচ্ছে।  বিবিরপুকুর বাজারের  চাতাল ব্যবসায়ী ও ধান ক্রয়ের কমিশন এজেন্ট  আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রব্বানী জানান, রবি শস্য  চাষের ব্যয় মিটাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান হাট বাজারে বিক্রি করে থাকে।

সরকার নির্দ্ধারিত মূল্যের চেয়ে হাট বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান না  হলেও  লাভের একটি অংশ চলে যায় মধ্য স্বত্ত্বভোগিদের পকেটে।  কাহালুর পাইকড় ইউনিয়নের  কৃষক ইসমাইল, বীরকেদার ইউনিয়নের কাউরাস গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম আলী  জানান, এবার আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে।  বিঘা প্রতি ১৬-১৮ মণ হারে ধান ঘরে উঠেছে। তবে  দাম কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে বাজারে নিত্য পণ্যের দামের

সাথে পাল্লা দিয়ে ধানের দাম না বাড়ায় সংসারের ব্যয় মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের । তাছাড়া বেশি দামে সার কিনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তা পুষিয়ে নেয়া যাচ্ছেনা।  চলতি আমন মৌসুমে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় মোট ১৮,২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮ শ ৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল উফসী ও অবশিষ্ঠ জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬ শ ৪৫ মেঃটন। এছাড়া  উপজেলার দুর্গাপুর,দেওগ্রাম,জামগ্রাম,মালঞ্চা,এরোইল বাজার,মুরইল,পাইকড়  আড়োলা, তিনদীঘি,ও  শেখাহার হাটে নতুন আমন ধান কেনা বেচা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads