হাটহাজারীতে ব্রিজ ভেঙে তেলের ট্যাংকার খালে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফার্নেস অয়েল বহনকারী একটি ট্রেনের তিনটি ট্যাংকার গতকাল লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায়

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

হালদায় তেল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

হাটহাজারীতে ব্রিজ ভেঙে তেলের ট্যাংকার খালে

  • হাটহাজারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

চট্টগ্রামে ফার্নেস অয়েল বহনকারী একটি ট্রেনের তিনটি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়ে ব্রিজ থেকে খালে পড়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা সাতটি ট্যাংকারের মধ্যে তিনটি কালভার্ট ভেঙে গড়িয়ে পড়ে নদীতে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এক লাখ ৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল খালসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এ ফার্নেস অয়েল বিভিন্ন খাল হয়ে হালদা নদীতে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হালদায় এ তেল যাতে না যেতে পারে, সেজন্য সাময়িক বাঁধ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার দিকে হাটহাজারী পাওয়ার পিকিং প্ল্যান্টের ৩০০ গজ উত্তরে আবুল কালামের মাদরাসার সামনে মরা ছড়া নামের একটি কালভার্টের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, হাটহাজারীর একশ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ফার্নেস অয়েল ভর্তি সাতটি ট্যাংকার নিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছিল। বেলা ৩টার দিকে হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় একশ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছাকাছি পৌঁছলে তিনটি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয় এবং ব্রিজ ভেঙে নিচে পড়ে যায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জানান, তিনটি ট্যাংকারের প্রতিটিতে ৪২ টন করে ফার্নেস অয়েল ছিল। হাটহাজারীর দেওয়াননগর এলাকায় খালের ওপর সেতুতে উঠতে গিয়ে ট্যাংকারগুলো লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। এর মধ্যে একটি ট্যাংকার সেতুর গার্ডার ভেঙে খালে পড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত একটি ট্যাংকার থেকে গড়িয়ে পড়া তেল হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তেল যাতে হালদায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বে-ক্লিনার ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। এছাড়া খালের ওপর স্থানীয় প্রশাসন মাটির বাঁধ দিয়ে তেল ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ছড়ায় ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস অয়েল যাতে হালদায় না যেতে পারে সেজন্য নদীতে সাময়িক কয়েকটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ম্যানেজার শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফার্নেস অয়েলের দূষণ ঠেকানোর জন্য আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি।

এ প্রসঙ্গে ট্যাংকারবাহী রেলের লোকো মাস্টার কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, হাটাহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফার্নেস অয়েল নিয়ে যাওয়ার সময় মরা ছড়ার ওপর যে কালভার্ট রয়েছে, তার পাঠাতন ও স্লিপার হঠাৎ ভেঙে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্যাংকার উদ্ধারের জন্য কাজ করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

এর আগে ২০১৫ সালের জুনে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সেতু ভেঙে খালে পড়া ট্যাংকার থেকে নির্গত ফার্নেস অয়েল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান কার্প জাতীয় মাছের প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads