চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দেবরদের মারধরে আহত ভাবী মাকসুদা বেগম (৬০) ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।
২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে একটি তুচ্ছ কথার জের ধরে তিন দেবর ও ননদের জামাই মিলে মারধর করে। নিহত মাকসুদা উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ওড়পুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, নিহত মাকসুদার তিন সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে রেহানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার ফুফা সুমন মিয়া তাদের বাড়ির পাশে বাড়ি করে থাকেন। ফুফার সাথে তার মায়ের একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। তখন এক পর্যায় আমরা ফুফাকে লোইগা বলে ফেলি। এ কথার সূত্র ধরে আমার চাচা আবুল হাশেম, ইয়াছিন মিয়া ও আমার ফুফা সুমন মিয়া মিলে মাকে কাঠ দিয়ে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধরে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
মাকসুদা বেগমকে শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সোমবার বিকেলে তাকে কুমিল্লা ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
মাকসুদা মারা যাওয়ার খবর শুনে হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ মঙ্গলবার দুপরে ওই বাড়িতে যান। ফারুক আহমেদ জানান, মাকসুদা পূর্ব থেকেই অসুস্থ্য ছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করতে রাজি হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি। তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তার মেয়েরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মারধরের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তার অসুস্থতার কথাও জানিয়েছেন। তবে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। তবে ঢাকা মেডিকেলে লাশের ময়নাদন্তের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে এ বিষয়টি সেখানকার কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন।





