সড়কে মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছেই না। হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৪জন নিহত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাছের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরো ছয়জন। এছাড়াও এই জোড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আটজন।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কজনক।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টায় বিজয়নগর উপজেলার ভাটি কালিসীমা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এবং ভোর ৬টার দিকে নবীগঞ্জের কান্দিগাঁও এলাকায় এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নবীগঞ্জের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় জানা যায়নি এখনও। পুলিশের ধারণা, তারা ছুটি কাটাতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ১২জন যাত্রী নিয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল মাইক্রেবাসটি। এরমধ্যে কান্দিগাঁও এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আটজন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া বাকি চারজনও গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগরের দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সোহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমন (১৯)। আর আহতরা হলেন- শাহিন (৩০), বিজয় (১৯), আবীর (১৯) ও জিসান (২৪)। তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০জন যাত্রী নিয়ে সিলেট মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে যাচ্ছিল মাইক্রোবাসটি। সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার দিকে আসা লিমন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মহাসড়কের রামপুর এলাকায় মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ছয় যাত্রী নিহত হন।
