যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গিয়ে বাজে নজির দেখিয়েছে সৌদি আরব। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইস্যুটি গোপন করতে গিয়ে খুবই দুর্বলভাবে কাজ করেছে রিয়াদ। এটি এতটাই বাজে ছিল, যা গোপন করার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এছাড়া হত্যার ঘটনায় ২১ সৌদি নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র হুশিয়ার করেছে, সৌদির বিরুদ্ধে এটাই শেষ পদক্ষেপ নয়। খবর বিবিসি, সিএনএন ও ডেইল মেইল।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার ন্যুয়ের্ত মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ২১ জনের পরিচয় প্রকাশ করেনি। তিনি বলেন, এদের মধ্যে যাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা রয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভবিষ্যতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘ওই ঘটনায় এই ২১ জনকে দেওয়া সাজাই যথেষ্ট নয়। খাশোগিকে থামানোর জন্য নেওয়া কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংস কোনো পদক্ষেপ আমরা মেনে নেব না।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিককে মেরে ফেলার মতো ঘটনা কখনোই ঘটা উচিত ছিল না। এটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যে চেষ্টা তারা করেছে তা নজিরবিহীন। এমনটা করা উচিত হয়নি। কেউ কেউ একেবারেই জট পাকিয়ে ফেলেছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা কংগ্রেসই সিদ্ধান্ত নেবে। নিজেদের কনস্যুলেটের ভেতর হত্যাকাণ্ডের শিকার খাশোগিকে নিয়ে গত তিন সপ্তাহে সৌদি ভাষ্য কয়েকবারই বদলেছে।
তবে খুনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না দাবি করা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সোমবার এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই ইস্যুতে সৌদির সমালোচনা করলেও দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি বাতিল করবেন না বলে ফের ইঙ্গিত দেন তিনি। সাংবাদিক হত্যায় মূল দায়ী কে, ট্রাম্প তার বক্তব্যে তা স্পষ্ট করেননি। যদিও এ ঘটনায় সৌদির সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কয়েকজনকে যুক্তরাষ্ট্র চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক এই সাংবাদিকের হত্যার পেছনে ‘সংস্কারবাদী’ হিসেবে চিত্রায়িত হতে চাওয়া মোহাম্মদ সালমানের হাত আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ² উঠেছে পশ্চিমা মহলে।