বাণিজ্যিকভাবে ১৯৭৩ সালের মটোরলা থেকে শুরু করে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে মোবাইল ফোন এসে পৌঁছেছে স্মার্টফোনের যুগে। আর এ সময়কালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনের বাজারে এসেছে এবং মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আকার-আকৃতিগত পরিবর্তন মোবাইলের ডিজাইনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে উঠে আসা এমনই কিছু স্মার্ট মোবাইলের স্মার্ট স্ক্রিনের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইবিএম সায়মন : প্রথম মোবাইল ফোন যারা টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি এনেছিল। তবে ফোনটির ব্যাটারি মাত্র এক ঘণ্টা স্থায়ী হতো।
সিমেন্স এস-টেন : রঙিন ডিসপ্লে সম্পন্ন প্রথম হ্যান্ডসেট- যদিও সেখানে শুধু লাল, সবুজ, নীল এবং সাদা রং প্রদর্শিত হতো।
এলজি প্রাডা : হ্যান্ডসেটটি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন প্রবর্তন করেছিল- সেখানে পর্দার ইলেকট্রনিকস ক্ষেত্রের পরিবর্তনের দ্বারা আঙুলের চাপ শনাক্ত করা হতো।
আইফোন : অ্যাপল “মাল্টি টাচ” প্রযুক্তি সামনে আনে। যোগাযোগের বিভিন্ন দিক শনাক্ত করে - পিন-টু-জুম এবং অন্যান্য ইন্টারেকশনকে তারা সামনে আনে।
নোকিয়া এন এইটি ফাইভ : ওএলইডি (অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড) স্ক্রিন-যুক্ত প্রথম ফোন। এটি গভীর কালো এবং আরো ভালো কনট্রাস্ট রঙ প্রদর্শন করত।
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট : স্মার্টফোনে বড় স্ক্রিন অর্থাৎ ৫ ইঞ্চির ওপরে টাচ-স্ক্রিনের চল শুরু করেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট। এ সময় ফ্যাবলেট ইতোমধ্যে বাজারে চলে এলেও এত বড় হ্যান্ডসেট সেটাই এলজি জি ফ্লেক্স: প্রথম বেন্ডিং স্ক্রিন আসে এই হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে। অথচ এক সময় টাচ-স্ক্রিন বেঁকে যাবে সেটাই কেউ বিশ্বাস করতে চাইতো না। এলজির এই প্রযুক্তি পরে অন্য স্মার্টফোনের পথপ্রদর্শক হয়।
শার্প অ্যাকোস ক্রিস্টাল : ফোনের সাইডের বেজেল পাতলা করে একটি এজলেস লুক দিয়েছিল এই হ্যান্ডসেটটি, যা পরবর্তীতে সবাই অনুসরণ করে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট এজ : স্যামসাংয়ের এই হ্যান্ডসেটটির পর্দা দুদিকে মোড়ানো থাকে। এতে নোটিফিকেশন এবং অ্যাপ্লিকেশন শর্টকাটগুলোর জন্য অতিরিক্ত স্থান পাওয়া যায়।
সনি এক্সপেরিয়া জেড ফাইভ প্রিমিয়াম : স্মার্টফোনটি ফোর ডি ডিসপ্লে সবার আগে সামনে আনে। সে সময় এ ধরনের অতিমাত্রায় হাই-ডেফিনিশন মোবাইল স্ক্রিন পাওয়া এতটাও সহজ ছিল না।
এসেনশিয়াল ফোন : অ্যাপেলকে টেক্কা দিয়ে ক্যামেরা নচের প্রবর্তন করেছিল এসেনশিয়াল ফোন। যেখানে পর্দার ওপরের অংশটি প্রসারিত হয়। যাকে এখন অনেকেই ইনফিনিটি ডিসপ্লে বলে থাকে।
রয়েল ফ্লেক্সপাই : ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক এই ফোনটি গত বছর “বিশ্বের প্রথম ফোল্ডেবল ফোন” প্রকাশ করার মাধ্যমে পুরো স্মার্টফোন শিল্পকে চমকে দেয়।





