স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়ার ঘোষণা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

কালিহাতীতে জনতার মাঝে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

টাঙ্গাইল-৪

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়ার ঘোষণা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

  • কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় তার কালিহাতীর বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাই কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ওই ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেশবাসী চেনেন। ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে কি করেছে তা সবরাই জানা। তাদের দ্বারা মানুষের আর কোনো উপকার হবে না। আমি নির্বাচনে এসেছি ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিসিয়ারিদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারি-শোষকদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে। আমি নির্বাচনে এসেছি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, সংসদে জনগণের কথা বলতে এবং শেখ হাসিনাকে সাহায্য করতে’।

কালিহাতীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ার পরেও কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে সেই মনোনীত ব্যক্তির উপর কালিহাতীর জনগণ ও নেতা-কর্মীদের আস্থা নেই। তাই কালিহাতীর মানুষের ভালবাসা ও চাপেই আমি নির্বাচন এসেছি’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেল সৈনিক। আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। কালিহাতীর আসনটি আওয়ামী লীগের। কালিহাতীর মানুষ আমার মূলশক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেওয়ার জন্যই আমি নির্বাচনে লড়বো’।

লতিফ সিদ্দিকীর পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটী গ্রামে। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রীত্ব লাভ করেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে পবিত্র হজ্ব ও তাবলীগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রীসভা ও দলীয় পদ থেকে অপসারিত এবং সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। ওই উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণ খেলাপির কারণে তার প্রার্থীতা অযোগ্য ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত।

এছাড়া ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিনী লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads