কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১০ সালে কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে গৃহবধু ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুর রবকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় দিয়েছেন। এছাড়া আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী আবদুর রব স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে হত্যা করে। এই দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে নাঙ্গলকোটের বামবাতাবাড়িয়ার আবদুর রবের সাথে বিয়ে হয় ঝর্ণা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই আসামি আবদুর রব ঝর্ণাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। বিভিন্ন সময় ঝর্ণাকে দিয়ে শশুড় বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকায় আদায়ও করে। পরে এক সময় আসামি আবদুর রব আরো একটি বিয়ে করে। এর পর থেকে ঝর্ণা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, এতে তার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। টাকা না দিলে ঝর্ণাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় আবদুর রব। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বও রাত আড়াইটায় আসামি আবদুর রবের মা রাবেয়া আক্তার ঝর্ণার বাবাকে ফোন করে জানায়- আবদুর রব তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে , তাকে মারপিট করে হত্যা করেছে। পরে মেয়ের শশুড় বাড়ি গিয়ে ঝর্ণার মরদেহ দেখতে পায় শামসুল হক। পরদিন ৩০ নভেম্বর শামসুল হক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আসামি আবদুর রবকে আটক করে। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত এই রায় দেন।