জাতীয়

স্টল সাজাতে ব্যস্ত কারিগররা

বইমেলায় থাকছে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আবহ

  • রায়হান উল্লাহ
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ, ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যুগ যুগের রীতি ভেঙে এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা হবে স্বাধীনতার মাসে। ইতোমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল সজ্জার কাজে কারিগরদের হাতুড়ি-পেরেকের ঠুকঠাক আওয়াজ জানিয়ে দেয় প্রাণের এ মেলা দুয়ারে কড়া নাড়ছে।

গতকাল শুক্রবার মেলার মাঠ ঘুরে স্টল, প্যাভিলিয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে কারিগরদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হাতে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি থাকায় মেলার মাঠে পুরোদমে চলছে স্টল নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজ। এবারের গ্রন্থমেলা দেড় মাস পিছিয়ে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। সেদিন বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করবেন।

বইমেলা চলবে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এই বছর বইমেলার স্থানের পরিধি বেড়েছে এবং আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে বইমেলার অবকাঠামো। ইতোমধ্যে স্টল এবং প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ হয়ে গেছে।  বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় প্রায় ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। সব মিলিয়ে মেলায় স্টলের ইউনিট দাঁড়াবে ৮০০-এর বেশি। আর মেলায় মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৪টি। এবার প্যাভিলিয়নগুলোকে বিভিন্ন দিক না ছড়িয়ে এক জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। মেলার নকশা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে প্যাভিলিয়নে আসতে হলে বিভিন্ন স্টল হয়ে তারপর আসা যায়। এ ছাড়া মেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ৪টি আশ্রয়কেন্দ্র করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে মেলায় আগত অতিথিরা সেখানে যাতে আশ্রয় নিতে পারেন। অন্যান্য সময় এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো মোড়ক উন্মোচনের স্থান এবং লেখক আড্ডার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় বাংলা একাডেমি। পাশপাশি এবারো থাকছে ফুডকোর্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে উৎসর্গ করা হবে বইমেলার এবারের আয়োজন। বইমেলার সামগ্রিক সৌন্দর্য, বিন্যাস ও প্রকাশনায় থাকবে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আবহ। মেলার কারুকাজ ও আলোকচিত্রে থাকবে স্বাধীনতার চেতনার প্রকাশ।

স্বাধীনতার পাঁচটি দশককে পাঁচটি আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হবে মেলায়; যাতে বইমেলায় এসে দর্শনার্থীরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুভূতিও উপলব্ধি করতে পারেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা স্তম্ভের চারদিকে বর্ণমালা দিয়ে নির্মাণ করা হবে হরফ স্থাপনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইস্টিটিউটের সামনে দিয়ে এবার নতুন করে একটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রাখা হয়েছে। পাশেই গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য। এ ছাড়া উদ্যানে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ও বাংলা একাডেমির বিপরীত পাশ দিয়ে আরো দুটি করে পথ থাকবে।

এদিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি, বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে দোয়েল চত্বরের রাস্তায় মেট্রোরেলের রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। তাতে যেন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সমস্যা না হয়, সেজন্য ১৬ মার্চের মধ্যে ওই রাস্তা খালি করে দেওয়া হবে। মেলা চলাকালে মেট্রোরেলের কাজ বন্ধ থাকবে।

এবার প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল বিস্তৃতি পাচ্ছে বইমেলা; যা গতবারের প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০ সালে বইমেলার আয়োজন হয়েছিল প্রায় আট লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর স্বাধীনতার স্তম্ভকে কেন্দ্র করে উদ্যানের উত্তর ও পূর্ব দিকের অংশেও বেড়েছে মেলার পরিসর। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর।

অন্যবারের মতো এবারো শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। এই কর্নারকে শিশুকিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। মাসব্যাপী বইমেলায় এবারো শুক্র ও শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা করা হবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নজরুল মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

এ ছাড়া বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিদিনই থাকছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি। প্রতিদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত তা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে শুক্রবার বেলা ১টা থেকে বেলা ৩টা এবং শনিবার বেলা ১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।

বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মহামারীর কারণে ঝুঁকি এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণের আয়তন বৃদ্ধি করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, স্টলের সারিগুলোর দূরত্ব বাড়ানো হয়েছে। মেলায় প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেট দিয়ে আরো একটি নতুন পথ করা হয়েছে। রাখা হয়েছে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। জালাল আহমেদ বলেন, ঝড়-বৃষ্টি হলে কেউ যাতে না ভেজে, সেজন্য চারটি শেড নির্মাণ করা হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটও থাকবে।

মেলার সার্বিক নকশা করেছেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর। একজন সেচ্ছাসেবী হিসেবেই তিনি কাজটি করে আসছেন। তিনি বলেন, বইমেলা এবার হচ্ছে স্বাধীনতার মাসে। একুশের বইমেলা মার্চ মাসে করা নিয়ে নিয়ে কল্পনার ভেতর অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমার প্রস্তাব ছিল মেলায় যাতে মানুষ করোনার কারণে সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলাফেরা করে। আর সেখানে স্বাধীনতা যে স্তম্ভ আছে সেটাকে কেন্দ্র করে যা কিছু করা যায় তাই করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে মানুষ যেখানেই যাক মেলার ঘুরে ফিরে স্তম্ভটা চোখে পড়বেই। এর বাইরে অনেকগুলো প্রস্তাব করেছি। তিনি আরো বলেন, বাংলা একাডেমির একটা থিম আছে ‘হে স্বাধীনতা’ সেটাকে ধরে আমি স্বপ্ন , চিন্তা, চেষ্টা, চর্চা এবং অর্জন এই পাঁচটি জায়গায় চেষ্টা করছি কাজ করার। কারণ ৫০ বছরে আমরা স্বপ্ন দেখলাম, চেষ্টা করলাম, আমরা চিন্তা করলাম, চর্চা করলাম অর্জন করলাম কিনা সেটা জানার চেষ্টা। একজন মানুষ এসে যাতে নিজেকে প্রশ্ন করে এই ৫০ বছরে আমি নিজে কি করলাম।

নির্ঝর বলেন, এক ধরনের আনন্দ আছে এজন্য যে মেলা হচ্ছে, আবার বিষাদ আছে যে যেভাবে চাচ্ছিলাম সেভাবে পারছি না। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আবহাওয়া, এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনেক অনিশ্চয়তা আছে। আমার প্রস্তাবনা ছিল খুব শক্তভাবে কতোগুলো আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে শিশুদের জায়গাসহ কয়েক জায়গায় থাকার কথা। গরমে মানুষের হিটস্ট্রোক হতে পারে, সব বিবেচনা করে আমি কাঠামোর দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম বেশি। বিন্যাসের দিক থেকে প্রত্যকটা গ্রুপের মধ্যে যেখানে স্টল থাকার সেখানে স্টলই আছে, যেখানে প্যাভিলিয়ন সেখানে প্যাভিলিয়নই আছে। কোনোরকম মিশ্রণের মধ্যে যাইনি। বাংলা বর্ণমালায় গ্রুপের নাম ভাগ করা আছে। বৃত্তাকারে ঘুরলে সবজায়গায় যেতে পারবে মানুষ। এবার আমরা অলংকরণ এর চেয়ে কাঠামোর দিকে গুরুত্ব দিয়েছি।

অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনীর প্রকাশক আনিস সুজন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, এবারের মেলায় অনেক পাঠকের সমাবেশ হবে। যেখানে এ বছর বইমেলা হওয়ারই কোনো কথা ছিল না, সেখানে বইমেলা হচ্ছে এটাই বড় কথা। পাঠকশ্রেণির একটি বড় অংশ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে প্রথম দিকে পাঠকের আনাগোনা একটু কম হলেও যেহেতু ৩০ তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, এরপর থেকেই মেলা জমে উঠবে।’

অন্বয় প্রকাশনীর প্রকাশক হুমায়ুন কবির ডালি বলেন, ‘মেলায় বড় অংশগ্রহণকারী হলো শিক্ষার্থীরা। ৩০ তারিখ স্কুল কলেজ খুললেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে না। সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। যেহেতু করোনার প্রকোপ ইতোমধ্যে অনেক কমে গেছে। আমরা আশাবাদী, সবকিছু মিলিয়ে এবার একটি ভালো মেলাই হবে।’

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, এবার একটা ভিন্নরকম পরিস্থিতিতে বইমেলা হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে করোনার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ আছে। সব মিলিয়ে একটা ধারাবাহিকতা রক্ষা করার মেলা হচ্ছে এবার। মেলা নিয়ে আমরা খুব বড় ধরনের প্রত্যাশাও এবার করছি না। শুধু প্রত্যাশা এইটাই এই প্রথম এক বছরে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এই সময়ে যারা আসবে তাদেরকে যেন ঠিকভাবে বইমেলা আসে এবং বইটি আমরা দিতে পারি ভালোভাবে।

নব্বই দশকের শক্তিমান কবি ও ছোটকাগজ লেখমালার সম্পাদক মামুন মুস্তাফা বলেন, করোনার অর্থনৈতিক দুঃসময়কে পুঁজি করে এবারের বইমেলা আয়োজন সাহসিকতার পরিচয়ই বটে। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ। তবে সমাজ ও মানবমনের সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত রাখতে বইমেলার বিকল্প ছিল না।

তিনি বলেন, বইমেলা হবে কি হবে না—এমন দোলাচলে সর্বস্তরের মানুষের মনে বেদনাবোধ জাগ্রত হয়েছিল। তার মানে পাঠক আছে, পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই পাঠকের হাতে তুলে দিতে হবে তার মানসগঠনের বই। তার জন্য আমাদের লেখকদের আরো সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আমি সব দর্শনার্থীকে বলব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় আপনারা আসবেন, বাংলা একাডেমি কর্তৃক সব নিয়মকানুন আমরা যেন যথাযথভাবে পালন বা মেনে চলতে পারি, সেদিকে সবার দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষকে ধারণ করে এবারের বইমেলায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে প্রাধান্য দেব। বইমেলার এবারের থিম ‘হে স্বাধীনতা’। বইমেলাজুড়ে থাকবে একুশের চেতনা। এ ছাড়া, এবারের মেলায় কয়েকটি দৃশ্যগত পরিবর্তন আসবে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, ফলে পাঠক-ক্রেতা হিসেবে যারা আসবেন, সবাই যেন দুর্যোগে একটি নিরাপদ আশ্রয় পান সেটির জন্যও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

সবশেষে গতকাল বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এবার বিশাল পরিসরে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে এবারের মেলা আয়োজিত হবে। গতবারের থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি এলাকায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, এবারের মেলায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা। মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে বিষয়টি নজরদারির জন্য। এ ছাড়া আমরা মেলার প্রতিটি প্রবেশ পথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছি। এর পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রও থাকছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এবার আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট থেকে একটি নতুন প্রবেশ পথ তৈরি করেছি। সেই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকা সংলগ্ন জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছি।

১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরো অনেকে যোগ দেন।

১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।

১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা আর করা যায়নি। পরের বছর ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সূচনা হয়।

মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের এই বইমেলা এখন বাঙালির মননের মেলায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads