সারা দেশ

সৈয়দপুরে আন্দোলনে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

  • ''
  • প্রকাশিত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।


বুধবার (১১ আগষ্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কক্ষে নিহতের বাবা মো. আলমগীরের হাতে নগদ ওই অর্থ তুলে দেন উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার এবিএম হুমায়ুন কবীর।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়ার আলমগীর হোসেন ও সাহিদা বেগম দম্পতির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন সবার বড়। তাদের নিজেদের কোন বসতভিটা নেই। তাই অন্যের জমিতে বসবাস করতেন সাজ্জাদের পরিবার।


এক পর্যায়ে সেখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে পারি জমান রাজধানী ঢাকা সাভারে। সাভার ডেইরী ফার্ম এলাকার দক্ষিণ কালমা এলঅকায় বসবাস করতেন তারা। সাজ্জাদের বাবা সেখানকার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আর সাজ্জাদ ঢাকার সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারকে বাঁচাতে কাজ করতেন একটি পোশাক কারখানায়। প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে করেন সাজ্জাদ হেসেন। তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার।


গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের সদস্যরা সাভার থেকে সাজ্জাদের মরদেহ উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন নামের এক চাচার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেখানে পরের দিন ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
অনুদানের টাকা তুলে দিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার লে.কর্নেল মো. নাঈম (অব.), ফিন্যান্স ডিরেক্টর একেএম সিরাজুল ইসলাম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মো. রাকিবুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রায়হান  প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads