সেনা মোতায়েন পেছানোর সিদ্ধান্ত দুঃখজনক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন

সেনা মোতায়েন পেছানোর সিদ্ধান্ত দুঃখজনক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে সাড়া পাননি অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে ১৫ তারিখ (১৫ ডিসেম্বর) এটাই আমরা জানতাম, পত্রিকায়ও তাই এসেছে। এখন শুনছি ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ কী? কারণ হলো বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে সাইজ করা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো, যাতে করে তারা এলাকা ত্যাগ করেন।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাফিজ বলেন, ‘এমনিতেই নেতারা আগাম জামিন চাইতে এসে ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গত কয়েক মাস ধরে। অনেক নেতাকর্মী প্রাণভয়ে এক বছর ধরে এলাকায় যেতে পারছেন না। যেখানে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপর এত অত্যাচার-নির্যাতন, সেখানে সেনা মোতায়েন ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার মাজেজা কী? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের মানবাধিকার গণতন্ত্র নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রতিটি অধিকার প্রতিদিনই পদদলিত হচ্ছে।’

৬ বছর এলাকায় যেতে পারেন না বলে জানান বিএনপির এই নেতা। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভোলা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। অতীতে ছয়বার এই এলাকা থেকে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে। ৯১-এর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে। কিন্তু গত ছয় বছর এলাকায় যেতে পারিনি। অবশেষে গত বুধবার আমার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু যেতে দেওয়া হয়নি।’

হাফিজ বলেন, ‘আমাদেরকে লঞ্চে করে যেতে হয়। লঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার সফরসঙ্গীরা লঞ্চে উঠে গিয়েছেন। আমি বাসা থেকে আগেই বেরিয়ে এসেছি। ৮টায় লঞ্চ ছাড়বে। ৬টা ২০ মিনিটে আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ লঞ্চ টার্মিনালটি দখল করে নেয়। লঞ্চে প্রবেশ করে আমার প্রায় ৫০ জন কর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা এই এলাকাতেই আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

‘টার্মিনালের প্রবেশপথে ২০০ জন মাস্তান, কারো হাতে অস্ত্র, কারো হাতে হকিস্টিক, কারো হাতে পিস্তল- এগুলো নিয়ে তারা গোটা টার্মিনাল ঘিরে রাখে। এ কারণে আমি লঞ্চে উঠতে পারিনি, আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারিনি’- যোগ করেন হাফিজ।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এলাকায় আমাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার লোক সমবেত হয়েছিল, তারা জানতে পেরেছে আমি লঞ্চে উঠতে পারিনি, তারা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছে। এই হলো বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্র। এখানে একজন প্রার্থী হয়ে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছি না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads