সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  • সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই, ২০১৯

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। ১৫ স্থানে ফাটল ধরায় হুমকির মুখে পড়েছে শ্রীপুর-সুন্দরগঞ্জ মুখী বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধ।

গত ৯ দিন থেকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বেলকা, হরিপুর, কাপাশিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই পরিবার পরিজন, গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২২ সে.মি ও ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো’র এসডি সেলিম হোসেন জানান, হুমকির মুখে পড়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধটির ভাঙ্গন ঠেকাতে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ্ জানান, তার ইউনিয়নে ৫ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত নয়। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়াসহ তাদের মাঝে এ পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ৩শ ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৭০ মে.টন চাল বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১শ মে.টন চালের জরুরি বরাদ্দ চেয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads