সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ অভিমুখে বিক্ষোভ

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ অভিমুখে বিক্ষোভ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের পদত্যাগের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে গত মঙ্গলবার রাজধানী খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বশিরের প্রাসাদ অভিমুখে মিছিল করে কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

সপ্তাহব্যাপী চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানান দেশটির কর্মকর্তারা। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, পুলিশের হাতে অন্তত ৩৭ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের বিষয়ে কোনো কিছু না জানালেও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

চলতি বছর রুটির ওপর ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এর মূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। গণরোষের মুখে সরকার গত নভেম্বরে আটার ওপর ৪০ শতাংশ ভর্তুকি বাড়ায়। মঙ্গলবার খার্তুমে বিক্ষোভের ডাক দেয় দেশটির পেশাজীবীদের অ্যাসোসিয়েশন। তাতে সমর্থন জানায় অন্যতম প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল উম্মাহ পার্টি। দেশাত্মবোধক গান ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে প্রাসাদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে বিক্ষোভ মিছিল। পুলিশ তাদের থামাতে টিয়ার গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন তারা।

গত সপ্তাহে আতবারা শহরে ক্ষমতাসীন দলের সদর দফতরসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করেও সেখানে রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। ১৯৮৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন ওমর আল বশির। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি হয়। যদিও রাশিয়া, চীন, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ও জোট এর বিরোধিতা করে। তবে পরোয়ানা জারি হলেও বশিরকে গ্রেফতার করে হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হাজির করতে না পারায় তার বিচার শুরু করা যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads