প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সুগন্ধার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ঝালকাঠির নলছিঠিতে সুগন্ধা নদী তীরবর্তী বন্দরের অপর প্রান্তে ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আকস্মিক নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে নলছিটির সঙ্গে ঝালকাঠির গাড়ি চলাচল দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিকট শব্দে ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ে নদীতে। মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায় ফেরিঘাটের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ট্রলার শ্রমিকদের একটি অফিস কক্ষ। এলাকার লোকজন এসে নদী থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কিছু মালপত্র উদ্ধার করতে পারলেও বেশির ভাগ নদীতে তলিয়ে গেছে। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নদীভাঙনের শিকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, গত দুই বছর ধরে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে উপজেলার ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট, বহরমপুর ও কাঠিপাড়া গ্রাম। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হলেও  নদীভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সবশেষ আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফেরীর গ্যাংওয়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকার চা দোকানি ইউসুফ আলী হাওলাদার জানান, সকালে দোকান খোলার পর হঠাৎ একটি শব্দ হয়। পলকের মধ্যে সব নদীতে চলে যায়। দোকানের কোনো মালপত্র রক্ষা করা যায়নি। ফেরিঘাট এলাকার অপর এক মুদি ব্যবসায়ী কাছেম হোসেন জানান, মুহূর্তের মধ্যে সব নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুই বছর ধরেই অল্প অল্প করে ভাঙছিল নদীর পাশ। সোমবার আকস্মিকভাবে সব শেষ হয়ে গেল। সব হারিয়ে আমরা পথে বসে গেলাম। ষাইটপাকিয়া ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা স্বপন দাস ও  জলিল শরীফ জানান, প্রতিদিনের মতো আমরা ঘাটে শ্রমিকদের অফিস কক্ষে বসেছিলাম। একটা বিকট শব্দে সব ভেঙে পড়ে নদীতে। এতে ফেরির গ্যাংওয়ে, ট্রলারঘাট আমাদের অফিস কক্ষটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। পরে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ সচল রাখতে দ্রুত পূর্বের ঘাটের পাশেই বহরমপুর গ্রামে একটি বিকল্প জায়গায় ঘাট স্থাপন করা হয়। এতে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়।

এ ব্যাপারে নলছিটি-ষাইটপাকিয়া ফেরির সুপারভাইজার মো. মোশারফ হোসেন জানান, আকস্মিক ভাঙনে ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে যাওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য নলছিটি-ষাইটপাকিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নলছিটি উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভাঙনের পরই আমরা জেলা ফেরি বিভাগের মাধ্যমে ক্রেন খবর দিয়েছি। আগামীকালের (আজ বুধবার) মধ্যে নতুন করে গ্যাংওয়ে স্থাপন করার পর ফেরি চলাচল করতে পারবে  বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার জানান, সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ষাইটপাকিয়ার কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফেরির গ্যাংওয়ে বিলীন হওয়ায় পর এ রুটে দ্রুত যোগযোগব্যবস্থা চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপদের ফেরি বিভাগে জানানো হয়েছে। দ্রুত ক্রেন পাঠিয়ে নতুন গ্যাংওয়ে তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads