সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নসহ বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের নয়াদিল্লিতে আজ এই সম্মেলন শুরু হবে। শেষ হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
গতকাল মঙ্গলবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক ভিভেক জোহরির নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। একই সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো সুসংহত করতে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী সোমা ইসলামের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে। প্রতিনিধি দল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভ্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শনের প্রথম দিনে নয়াদিল্লিতে বিএসএফের চাওলা ক্যাম্পে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে। এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত/হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে করণীয়। ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা/সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধ। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য/মাদকদ্রব্যের কারখানা/গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়। ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ। বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক (মিয়ানমার নাগরিকসহ) কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন/অবৈধ পারাপার/অনুপ্রবেশ রোধ। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশ কর্তৃক সীমান্ত সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত আলোচনা।
উক্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চাওলা ক্যাম্প স্টেডিয়ামে বিজিবি ও বিএসএফ ভলিবল টিমের মধ্যে ‘মৈত্রী কাপ টুর্নামেন্ট (ভলিবল)’ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ডিসেম্বর সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসবে।





