সিলেট জেলার ছাতক উপজেলার স্কুলছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমন হত্যা মামলার রায়ে আজ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদপ্রাপ্তরা হলেন- ছাতক উপজেলার বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ, রফিক, জায়েদ ও একই উপজেলার ব্রাহ্মণ জুলিয়া গ্রামের সুয়েবুর রহমান সুজন। এদের মধ্যে সালেহ আহমদ পলাতক।
আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর সাংবাদিকদের জানান, রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য এক ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নিহত ইমনের বাবা জহুর আলী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তা দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।
আসামিরা ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্টান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় অপর আসামিদেরও গ্রেফতার করা হয় ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শিবলী ও এ কে এম শামিউল আলম ও আসামিপক্ষে আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন।
শিশু ইমন হত্যামামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।