যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে জয় পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। অপরদিকে আট বছর পর নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। প্রাপ্ত ফলে দেখা গেছে, সিনেটের ৫১টি আসনে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা জয় পেয়েছে ৪৫টি আসনে। ফলে সিনেটে রিপাবলিকানদেরই আধিপত্য থাকল। অপরদিকে নিম্নকক্ষের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ২২০টি আসন নিশ্চিত করেছে ডেমোক্র্যাটরা। আর রিপাবলিকানরা জয় পেয়েছে ১৯৩টি আসনে। হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২১৮টি আসন প্রয়োজন। সেই হিসেবে নিম্নকক্ষের কর্তৃত্ব থাকছে ডেমোক্র্যাটদের হাতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিনেটে আধিপত্য ধরে রাখার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিচারক নিয়োগসহ বেশকিছু এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সফল হবেন। আর নিম্নকক্ষে জয়ের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটরা হাউজ কমিটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করতে পারবে, রিপাবলিকান বিল আটকে দিতে পারবে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি করতে পারবে। বিবিসির এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি করতে হাউজে সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই চলবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ‘দারুণ সফল’ বলে বর্ণনা করেছেন। টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আজ রাত দারুণ সফল। সবাইকে ধন্যবাদ!
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর পর পর। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে (উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে। এ সময় দুই বছর মেয়াদি প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সব আসনে ভোট হয়। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যেও ভোট হয়। তবে সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর হওয়ার কারণে সেখানে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন হয়। এবার সেখানে ৩৫ আসনে ভোট হয়।